সম্প্রতি ভুয়া আমন্ত্রণপত্রের জালিয়াতি: কানাডা গমনেচ্ছু ৪২ যাত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনার মাধ্যমে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানির বিষয়টি ফের সামনে এসেছে।
গণমাধ্যমের খবর বলছে, একটি ‘কল্পিত’ বিয়েতে অংশগ্রহণের জন্য ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করে কানাডার ট্যুরিস্ট ভিসা পেয়েছিলেন সিলেটের ৪২ জন। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনও সম্পন্ন করেন তারা। তবে ট্রানজিটে অপেক্ষা করার সময় বিমানের পাসপোর্ট চেকিং ইউনিটের সদস্যদের সন্দেহ হলে তারা আমন্ত্রণপত্র ও হোটেল বুকিং দেখতে চান এবং কানাডায় বিয়েতে অংশ নিতে একসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে এত লোক যাওয়ার বিষয়টিতে তাদের খটকা লাগে।
বিমান কর্মকর্তারা তাদের ভিসা যাচাইয়ের জন্য সিঙ্গাপুর ও দিল্লিতে কানাডার ভিসা অফিসে ইমেইল পাঠান। যাত্রীদের জানানো হয়, কানাডা বর্ডার এজেন্সি নিশ্চিত করার পর তাদের বিমানে উঠানো হবে। পরদিন সকাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুর ও দিল্লি থেকে কোনও তথ্য না পাওয়ায় বিমান কর্তৃপক্ষ পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন সিল কেটে দিয়ে লাগেজসহ তাদের ফিরিয়ে দেন। (যুগান্তর, ১৩ নভেম্বর ২০২৩)।
বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, টরন্টো পৌঁছানোর পর যদি এই যাত্রীরা ইমিগ্রেশনে আটকে যেতেন, তাহলে প্রত্যেকের জন্য বিমানকে ১৮০০ ডলার জরিমানা করা হতো। আর তারা যেতে না পারায় প্রায় কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বিমানের। যদিও আটকে যাওয়া যাত্রীরা বলছেন, তাদের ভিসা বৈধ, এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের যেতে দেয়নি। তাই যাত্রীদের টিকিটের দায় এয়ারলাইন্সকেই মেটাতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে এই ঘটনাকে ঢাকা বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানির আরেকটি উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অনেকে লিখেছেন, যেহেতু তাদের ভিসা ছিল বৈধ, ফলে তাদের আটকানোর কোনও যৌক্তিকতা নেই। সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহীন গণমাধ্যমকে বলেছেন, তাদের কাগজপত্রে যদি কোনও ত্রুটি থাকতো তবে কানাডা বিমানবন্দরে নামার পর সেখানকার ইমিগ্রেশন এই ব্যাপারটি দেখতো। এই ৪২ জনের সঙ্গে ৪২টি পরিবারের স্বপ্ন জড়িত ছিল, কিন্তু বিমান যা করেছে তা ঠিক হয়নি।
অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশে যেখানে বেকারত্বের হার অনেক এবং দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সে। অতএব, এই ৪২ জন বাংলাদেশিও কানাডায় যেতে পারলে তাদের পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা আসতো—যাতে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশই লাভবান হতো। কেননা, তারা যে কাজের উদ্দেশ্যেই কানাডায় যেতে চাইছিলেন, সেটি মোটামুটি পরিষ্কার। এমতাবস্থায় এই ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান বরাবরে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।
সিলেটের ওই ৪২ জন যাত্রীর ক্ষেত্রে আসলেই কী ঘটেছিল; ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে ভিসা নেওয়ার ঘটনাটি কতটুকু সত্য এবং তারা কানাডার ইমিগ্রেশনে আটকে যেতেন কিনা—সেটি অন্য তর্ক। অন্য আলোচনাটি হচ্ছে ঢাকা বিমানবন্দর—যেটি যাত্রী হয়রানির নানা ঘটনায় প্রায়শই সংবাদ শিরোনাম হয়। বিশেষ করে ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের নানাবিধ অসম্মানজনক, অসৌজন্যমূলক, উদ্ভট ও এখতিয়ারবহির্ভূত প্রশ্ন করে নাজেহাল করার অভিযোগ বেশ পুরোনো।
সিলেটের এই ঘটনার পরে ফেসবুকে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ, বিশেষ করে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি ঢাকা বিমানবন্দরে নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। রনি মোহাম্মদ নামে একজন পর্তুগাল প্রবাসী লিখেছেন: ‘আমি ১৫ বছর যাবৎ ইউরোপ থাকি। কিন্তু প্রতিবারেই ইমিগ্রেশনে আমাকে নানাবিধ অপ্রীতিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। যেমন, যে দেশে থাকি সেই দেশের রাজধানীর নাম কী?… ইত্যাদি।
বাপ্পী কুমার দাস নামে একজন মালয়েশিয়া প্রবাসী লিখেছেন: আমি নিয়মিত দেশে যাওয়া-আসা করি। মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশনে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু আমাদের দেশের বিমানবন্দরে এমন সব অসম্মানজনক প্রশ্ন করা হয়, যা সত্যি লজ্জাজনক!
শারমীন ইব্রাহিম একসময় বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাংবাদিকতা করতেন। সিলেটের ওই ঘটনার পরে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন: আমি আমার মেয়ে ও আম্মাকে নিয়ে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন অফিসার প্রশ্ন করলেন, আমার স্বামী কোথায়?
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংস্থা এপিসিআইসিটির একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় যাই। ঢাকা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন অফিসার আমার পাসপোর্টে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, থাইল্যান্ড, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ভিসা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য জাতিসংঘের আমন্ত্রণপত্র দেখার পরেও জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোরিয়ায় কেন যাচ্ছি?’ বললাম জাতিসংঘের একটা সেমিনারে অংশ নিতে। তিনি কাগজপত্র দেখলেন। তারপর একটা অদ্ভুত প্রশ্ন করলেন: ‘আপনি কি ওখানে বিয়ে করেছেন?’
ঢাকা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য যে একটা বিরাট আতঙ্ক আর অস্বস্তির নাম, সে বিষয়ে সম্ভবত কারও দ্বিমত নেই। অথচ সুনির্দিষ্টভাবে কোনও যাত্রীর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য না থাকলে; সাজাপ্রাপ্ত বা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি না হলে; জঙ্গি-সন্ত্রাসী বা দেশের জন্য ক্ষতিকর না হলে ইমিগ্রেশনে কোনও যাত্রীকে অপ্রাসঙ্গিক, অসম্মানজনক, এখতিয়ারবহির্ভূত প্রশ্ন করার সুযোগ নেই।
বরং পাসপোর্ট ও ভিসা ঠিক থাকলে তার ছবি তোলা এবং অন্যান্য ফরমালিটি শেষ করে পাসপোর্টে সিল দিয়ে হাসিমুখে যাত্রীর হাতে দিয়ে দেওয়াটাই ভদ্রতা। এটাই নিয়ম। আর পাসপোর্ট হাতে নিয়ে যাত্রী তাকে ধন্যবাদ দেবেন, এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু খুব ব্যতিক্রম ছাড়া ঢাকা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে অধিকাংশ যাত্রীই মনে মনে স্রষ্টার নাম স্মরণ করেন, যাতে কোনও আজেবাজে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে না হয় বা কোনও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি না হয়। অথচ ইমিগ্রেশন ডেস্কে যে অফিসাররা বসে আছেন, তাদের বেতন হয় ওইসব যাত্রীর ট্যাক্সের পয়সায়।
শোনা যায়, ইমিগ্রেশন অফিসাররা মূলত যাত্রীদের অপ্রীতিকর ও অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে তাদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিতে চান—যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের কাছ থেকে টাকা (ঘুষ) নেওয়া। অনেকেই ভয় পেয়ে কিংবা ঝামেলা না বাড়াতে টাকা-পয়সা দিয়ে দেন বলে শোনা যায়। এই ধরনের অভিজ্ঞতায় বেশি পড়েন পড়ালেখা কম ও ইংরেজি ভালো না জানা মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়া প্রবাসী শ্রমিকরা। অনেক সময় তাদের চেহারা ও গতিবিধি দেখে লাইন থেকে আলাদা করে রুমে নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে তাদের মানসিকভাবে দুর্বল করা হয়।
অথচ এই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে। করোনার অতিমারিসহ বৈশ্বিক নানা সংকটের ভেতরেও দেশের অর্থনীতি যে একটা মোটামুটি স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল, সেখানে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্স অন্যতম প্রধান শক্তি। সেই সে হিসেবে বিমানবন্দরে তাদের সর্বোচ্চ ভদ্র, মানবিক ও সম্মানজনক আচরণ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সম্মানজনক আচরণ তো দূরে থাক, ঢাকা বিমানবন্দর তাদের কাছে একটা আতঙ্কের নাম। অথচ যে আতঙ্ক বিদেশের বিমানবন্দরেও নেই।
কেন এমন হয়? বলা হয় এর মূল কারণ বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন এবং সরকারের অন্যান্য দফতরের লোকজনের পোস্টিং বাণিজ্য। এখানে অনেক টাকা ঘুষ দিয়ে পোস্টিং নিতে হয় এবং সেই টাকা সুদে-আসলে তুলতে গেলে যাত্রীদের হয়রানি করার কোনও বিকল্প নেই। তবে সাধারণ যাত্রীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে খুব বেশি টাকা পাওয়া যায় না। বিমানবন্দরে মূল বাণিজ্যের নাম ‘এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্ট’।
অর্থাৎ যেসব যাত্রী স্বাভাবিকভাবে বা সহজে দেশ ছাড়তে পারবেন না বা দেশে ঢুকতে পারবেন না—যেমন রাজনৈতিক নেতা, বিতর্কিত ব্যবসায়ী, অপরাধী—তাদের ইমিগ্রেশন পার করে দেওয়ার নাম ‘এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্ট’। ব্যক্তি ও ঘটনাভেদে এখানে টাকার লেনদেন হয়। বলা হয়, ‘এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্ট’ না থাকলে অনেক বিদেশগামী যাত্রী আটকে যেতেন।
এবার ব্যাপারটাকে একটু উল্টো করে দেখা যাক। আমাদের দেশের প্রত্যেকটা সেক্টর যে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে আমরা সবাই যে সুযোগসন্ধানী তথা ‘দুই নম্বরি’ উপায়ে সহজে যেকোনও কিছু অর্জন করতে চাই, সে কারণে বিমানবন্দরের ফাঁকফোকর গলিয়ে অনেক সময় অনেকেই ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ভিসা নিয়ে, এমনকি জাল ভিসায় সংশ্লিষ্ট দেশের ইমিগ্রেশনে গিয়ে আটকে যায়।
যখন এরকম ঘটনা অহরহ ঘটতে থাকে তখন বাংলাদেশের সরকার ও বিমানবন্দরের ওপর চাপ আসে কীভাবে এই লোকগুলো বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পার করলো? এ কারণে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন অফিসারদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কিন্তু সেই সতর্কতার সঙ্গে প্রবাসী শ্রমিক বা সাধারণ যাত্রীদের আজেবাজে প্রশ্ন করার কী সম্পর্ক—তা স্পষ্ট নয় এবং ‘এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্ট’ বলে যে টার্মটি চালু আছে, সেটিও অস্বীকার করার কোনও সুযোগ নেই।
তবে শুধু ইমিগ্রেশন নয়, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের হারানো মালামালের সন্ধান পাওয়ার পর সেগুলো যেই বিভাগের নিরাপত্তায় থাকে, তার ব্যবস্থাপনায়ও মারাত্মক অনিয়ম রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ বিভাগের স্টোর রুমের চাবি সংরক্ষিত জায়গায় না রাখায় অন্য বিভাগের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তা ব্যবহার করেন, যে কারণে সেখান থেকে মালামাল চুরির ঘটনা ঘটে বলে সন্দেহ করা হয়। দেশে ফেরার পরে অনেকেই বিমানবন্দরের নির্দিষ্ট বেল্টে গিয়ে লাগেজ পান না।
বলা হয়, কোনও একটি দেশের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা কেমন, তার অনেকখানি বোঝা যায় সেই দেশের প্রধান বিমানবন্দরে পা রেখে। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা যাত্রীদের সঙ্গে কী আচরণ করেন; যাত্রী অনুপাতে ইমিগ্রেশনের বুথ সংখ্যা কেমন; লাগেজ বেল্টে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এবং সেখানে শৃঙ্খলা কেমন; নিরাপত্তা, শুল্ক ফাঁকি ও চোরাচালান ইস্যুতে কাস্টমস কর্মকর্তারা যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশির সময় কতটা আন্তরিক থাকেন; তল্লাশির নামে যাত্রীদের হয়রানি ও দুর্ভোগের চিত্র কেমন; একেকজন যাত্রীকে ক্লিয়ারেন্স দিতে কত সময় লাগে; লাগেজ বহনের জন্য পর্যাপ্ত ট্রলি আছে কিনা; ট্রলির জন্যও বিমানবন্দরের কর্মচারীরা পয়সা চায় কিনা, এমনকি টয়লেট কতটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন—সেটিও একটি বিমানবন্দরের আধুনিক ও যাত্রীবান্ধব হয়ে ওঠার অন্যতম শর্ত। এখন আমরা এই শর্তগুলো আমাদের জাতীয় বিমানবন্দরে গিয়ে মিলিয়ে দেখতে পারি।
সরকারের তরফে মাঝে মধ্যে নানা রকম পদক্ষেপের কথা শোনা যায়। গত বছরের মে মাসে বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে বিমান প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, প্রয়োজন ছাড়া যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। তিনি বলেন, ২১ হাজার যাত্রী প্রতিদিন আসা-যাওয়া করে। এত সংখ্যক যাত্রীকে প্রশ্ন করা একদিনে সম্ভব নয়। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন, কেবল তাদেরই করা হচ্ছে।
বাকিরা যাত্রী কিনা, বিষয়টি ইমিগ্রেশন পুলিশ নিশ্চিত করবে। বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, কাস্টমসের সঙ্গে কথা হয়েছে, যাতে সব যাত্রীর ব্যাগ চেক করা না হয়। কেবল তথ্যের ভিত্তিতে যাকে সন্দেহ হবে, তাকে চেক করা হবে এবং ১ থেকে ২ শতাংশ যাত্রীকে আলাদাভাবে নিয়ে চেক করতে হবে। প্রশ্ন হলো, বিমান প্রতিমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পরে গত দেড় বছরে ঢাকা বিমানবন্দরের চেহারায় কতটা পরিবর্তন এসেছে?
একটি বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক হয়ে ওঠার জন্য শুধু টার্মিনালের সংখ্যা বাড়ানোই যথেষ্ট নয়, যাত্রীদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণও করা প্রয়োজন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post