পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের বিনানিহারা গ্রামের মৃত সামশুল আলমের মেয়ে মর্জিনা আকতার। ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তার সাথে সৌদি প্রবাসী আনোয়ারুল আমিনের পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। আনোয়ারুল আমিন দেশে এসে কাবিননামা সম্পাদন করে মর্জিনাকে আমিনের বাড়িতে ওঠিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও দেশে ফিরে আনোয়ারুল আমিন এখন বিয়েকে অস্বীকার করছে।
মর্জিনা আকতার পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের বিনানিহারা গ্রামের মৃত সামশুল আলমের কন্যা। অন্যদিকে আনোয়ারুল আমিন একই উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ পুচ্চিপাড়া এলাকার আলী মুন্সির পুত্র।
জানা যায়, ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মর্জিনার সাথে আনোয়ারুল আমিনের সর্ম্পক গড়ে উঠে। আনোয়ারুল আমিনের স্ত্রী-সন্তান নেই বলে মর্জিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর মর্জিনার এলাকার মসজিদের ইমাম আবুল কালাম হুজুর প্রকাশ ভোলা হুজুরের মাধ্যমে ভিডিও কলের মাধ্যমে আকদ হয়।
মর্জিনাকে বিয়ের পর কিছু কিছু টাকা পাঠায় আনোয়ারুল আমিন। মর্জিনার পরিবার আর্থিক অস্বচ্ছল এবং অসহায় পরিবার। বিষয়টি জেনে মর্জিনার বাপের বাড়ির সামনের জায়গায় দু’রুম বিশিষ্ট একটি পাকাঘর করার প্রস্তাব দেয় আনোয়ারুল আমিন।
ঘর তৈরি করতে ৬ লাখ টাকার প্রয়োজন হলে ৯টি এনজিও ব্যাংকের ম্যানেজার সাথে আনোয়ারুল আমিন সৌদিয়া থেকে কথা বলেন। মর্জিনাকে টাকা দিতে বলেন। ঋণের টাকা আনোয়ারুল আমিন সৌদিয়া থেকে পরিশোধ করবে বলে ব্যাংক ম্যানেজারদের জানায়। এতে এনজিও ব্যাংকের ম্যানেজারগণ নিশ্চিতে মর্জিনাকে টাকা দেন।
গত ২৩ অক্টোবর আনোয়ারুল আমিন দেশে আসলে মর্জিনা তাকে ফোন দেন। আনোয়ারুল আমিন এতে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে মর্জিনার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে খোজঁখবর নিয়ে মর্জিনা জানতে পারেন যে আনোয়ারুল আমিনের স্ত্রীসহ সন্তানাদি রয়েছে। এ খবর পেয়ে গত ১৯ নভেম্বর সকালে আনোয়ারুল আমিনের বাপের বাড়িতে গিয়ে অনশন করেন মর্জিনা।
এ ব্যাপারে আনোয়ারুল আমিন এর বাবা আলী মুন্সী জানান প্রায় ১০ বছর ধরে আমিনের সাথে তাদের যোগাযোগ নেই এ বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post