ভারতের উত্তরাখন্ডের উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে ধস নামার পর টানা আট দিন ধরে ভেতরে আটকে আছেন ৪০ জন শ্রমিক। এতদিনেও শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাতে না পারায় ভুক্তভোগীদের পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। অবশ্য উদ্ধার করা না গেলেও তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হয়েছে। পাইপের মাধ্যমেই তাঁদের কাছে খাবার ও অন্যান্য দরকারি জিনিস পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এত দিন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মাটি খুঁড়ে পাইপ ঢুকিয়ে উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার দুপুর নাগাদ সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পঞ্চম পাইপটি ঢোকানোর সময় বিপদ ঘটে। সুড়ঙ্গ ভাঙার তীব্র শব্দ কানে আসে উদ্ধারকারীদের। তৎক্ষণাৎ উদ্ধারকাজ থামিয়ে দেওয়া হয়। এবার তাই উপর দিক থেকে খননকার্য চালিয়ে ভাঙা সুড়ঙ্গের ভেতরে পৌঁছানো যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন উদ্ধারকারীরা।
এর আগে মাটি খোঁড়ার জন্য দিল্লি থেকে অত্যাধুনিক খননযন্ত্র আনানো হয়েছিল। সেই যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দেয়ার পর অন্য একটি বিদেশি যন্ত্রের মাধ্যমে কাজ চলছিল। ইনদওর থেকে আরও একটি বিশেষ যন্ত্র এসে পৌঁছালে আবার মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু হবে। সুড়ঙ্গের ৬০ মিটার দীর্ঘ ধ্বংসস্তূপের পিছনে আটকে আছেন শ্রমিকেরা। তবে এখনও পর্যন্ত খোঁড়া গিয়েছে মাত্র ২৪ মিটার।
এদিকে সময়ে সময়ে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারে উদ্বেগ বাড়ছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পাইপের মাধ্যমে কথা বলছেন তারা। কিন্তু তাতে চিন্তা কমছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গের ভেতরে প্রত্যেক শ্রমিকই সুস্থ আছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এক বারের জন্যেও বিচ্ছিন্ন হয়নি। আশ্বস্ত করা হয়, দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post