নর্স আটলান্টিক এয়ারওয়েজের একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমান অ্যান্টার্কটিকার ৩ হাজার মিটার দীর্ঘ নীল বরফের রানওয়েতে অবতরণ করেছে। বরফের রানওয়েটি ছিল ৬০ মিটার প্রশস্ত। নিয়মিত যাত্রী রুট না হলেও বিমানটিতে ৪৫ জন যাত্রীর মধ্যে নরওয়েজিয়ান পোলার ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ছিলেন। মূলত অ্যান্টার্কটিকার ট্রল গবেষণা স্টেশন কুইন মউড ল্যান্ডে তাদের ১২ টন বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার জন্য ফ্লাইটটি চুক্তিবদ্ধ হয়।
উজ্জ্বল সূর্যালোকে বিশাল বিমানটি বরফের রানওয়েতে অবতরণের পর দ্রুত গতিতে ছুটে যায়। দক্ষিণ গোলার্ধে এখন গ্রীষ্মকাল চলছে। প্রশস্ত এবং ৩৩০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম এধরনের বিমান এবারই প্রথম ষষ্ঠ মহাদেশে পৌঁছেছে।
ফ্লাইটের ব্যবস্থাকারী ব্রোকার এয়ারকন্টাক্টের ড্যানিয়েল কেরি বলেন, ড্রিমলাইনারের পর্যাপ্ত কার্গো স্থান থাকায় বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম বহরে এটি ছিলো আদর্শ বিমান। অবশ্য এর জ্বালানি দক্ষতাও একটি বড় কারণ ছিল। উড়োজাহাজটি অ্যান্টার্কটিকায় অবতরণের পর কোনো জ্বালানি নেওয়া ছাড়াই কেপটাউনে ফিরে আসে।
নর্স আটলান্টিক এয়ারওয়েজের সিইও বিজর্ন টোরে লারসেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, অ্যান্টার্কটিকায় এধরনের অবতরণ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। তিন এই এই গুরুত্বপূর্ণ এবং অনন্য মিশনে অংশ নিতে পেরে গর্বিত। এটি তাদের উচ্চ প্রশিক্ষিত দক্ষ পাইলট, ক্রু এবং অত্যাধুনিক বোয়িং বিমানের একটি শক্ত প্রমাণ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post