গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রবাসী স্বামীর পাঠানো টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও হয়েছে দুই সন্তানের জননী স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম। এ ঘটনায় স্বামী আমিনুল ইসলাম এখন পথে পথে ঘুরছেন এবং পাগলপ্রায় হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রামজীবন ইউনিয়নের পশ্চিম রামজীবন গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে আমিনুল ইসলামের সাথে সর্বানন্দ ইউনিয়নের তালুক সর্বানন্দ গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে নুরুন্নাহার বেগমের ২০১০ সালে বিবাহ হয়।
বিয়ের পর আমিনুল ইসলাম ও নুরুন্নাহার বেগমের দাম্পত্য জীবনে ১ পুত্র এবং ১ কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেরই ছিল। আমিনুল পেশায় একজন কৃষক। তাই সে সংসারের সচ্ছলতা ফেরাতে ২০১৭ সালে সৌদি আরবের ভিসা নিয়ে প্রবাসে বা বিদেশে চলে যায়। বাড়ীতে রেখে যায় তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম, কন্যা আনিকা আক্তার (১০) ও পুত্র নাঈম ইসলামকে (৭)। আমিনুল বিদেশ যাবার পর ৭ বছরের মোট ১০ লক্ষ টাকা স্ত্রীর নামে পাঠিয়ে দেয়। স্বর্ণালংকার দেয়া হয় প্রায় ৭ ভরি।
এদিকে প্রেমিকের সাথে চলতে থাকে তাদের বসবাস এবং মেলামেশা। স্ত্রীর কথা বার্তা তার আচরণ মোবাইলের মাধ্যমে আমিনুল আঁচ করে এবং বুঝতে পারে। পরকীয়া স্ত্রী নুরুন্নাহার মোবাইলে আমিনুলকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি করে বিভিন্ন সময়ে তাকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে।
আমিনুল ইসলাম জানান, আমাদের সংসার জীবনে দুটি সন্তান রয়েছে। প্রবাসে থাকাকালে আমার যাবতীয় উপার্জনের টাকা আমি আমার স্ত্রীর কাছে পাঠাতাম। সে আমার ৬ লাখ টাকা, গয়নাগাটি ও আমার ছেলে এবং মেয়েকে রেখে আমাদের বাড়িতে রেখে পরকীয়া করে অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়েছে।
তিনি আরো জানান, আমি দেশে আসার কথা শুনে স্ত্রী সব কিছু নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে চলে যায়। যাওয়ার পর সে আমাকে ও আমার বাবা-মাকে মামলা করার ভয়ভীতি দেখায়। আমি বিদেশ থেকে বাড়িতে এসে শুনি আমার দুই সন্তান রেখে স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়েছে। সে অন্য কোথায়ও বিয়ে করে সংসার করছে। আমি আমার স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করলে বন্ধ পাই। পরে আমার ছেলে, মেয়ে একটি স্কুলে ভর্তি করে দেই। তারা দুই ভাই-বোন নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত করত। হঠাৎ একদিন দেখি আমার ছেলে, মেয়ে স্কুল থেকে বাড়িতে আসে নাই। তারপর খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি তার মা নুরুন্নাহার বেগম সন্তানদের স্কুল থেকে তার নানার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রেখে আবারও ওই প্রেমিকের বাড়িতে যায়। এখন আমার ছেলে-মেয়ে তার নানার বাড়িতে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। একদিকে তাদের পড়াশুনার যেমন হচ্ছে না। অন্যদিকে তারা বাবা-মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং অবহেলা মধ্যে দিন পার করছে।
এদিকে, আমিনুল ইসলাম, তার স্ত্রী প্রেমিকের সংসার করছে। সেই কারণে আমিনুল ইসলাম তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগমকে গাইবান্ধা ১নং ওয়ার্ড নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্টার নিকট এক তালাক দেন।
সন্তান হারিয়ে পাগল আমিনুল রাস্তায় ঘুরছেন। তিনি অভিযোগ করেন, শ্বশুর-শাশুড়ি টাকার লোভে তার স্ত্রীকে পালাতে সহায়তা করেছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post