বসতঘরের এক খাটে মা, আর অন্য খাটে দুই শিশুর নিথর দেহ- এমন অবস্থাতেই কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে এক প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার ৩ দিন পর শুক্রবার দেশে ফিরে তাদের লাশ দাফন করেন সৌদি প্রবাসী মঞ্জিল মিয়া। মৃতরা হলেন- মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা বেগম, তার দুই মেয়ে শিশু মোহনা এবং বন্যা। মোহনা বাড়ির পাশের বাসুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির, আর বন্যা একই স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
প্রবাসী মঞ্জিল মিয়া বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে প্রবাসে আছেন। সব কিছু ভালোই চলছিল। এক মুহুর্তেই এখন তার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। দেশে ফিরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে কবর দেয়ার পর দুনিয়াতে আর কেউ রইল না। তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার বিচার দাবী করেন।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতের খাবারের পর দুই মেয়েকে নিয়ে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তাসলিমা। মঙ্গলবার সকালে মোহনার এক সহপাঠী স্কুলের যাওয়ার জন্য ডাকতে আসে। এ সময় দরজা ধাক্কা দিয়ে ভিতরে তিনজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে সে। এতে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে ঘরের একটি খাটে মা তাসলিমা এবং অন্যটিতে দুই বোনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে।
এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর এবং ছোটন নামে দুজনকে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post