ওমান পরিবেশগত স্থায়িত্বের দিক দিয়ে স্কোরকার্ডে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছে। মধ্যপ্রাচ্য ১৭টি দেশ এবং আফ্রিকা অঞ্চলের পরিবেশগত টেকসই পারফরম্যান্সের ফলাফলের দিক দিয়ে ওমানের সাফল্যের বিষয়টি ওমানের ৫৩ তম জাতীয় দিবসে প্রকাশিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা জুড়ে সরকার এবং ব্যবসায়িক টেকসই নীতি, বিনিয়োগ এবং কর্মের তুলনা করা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং কাতার তাদের জীবাশ্ম জ্বালানী থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে জিসিসিতে সবচেয়ে বেশি কাজ করছে। নির্ভরতা সমীক্ষার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলি আফ্রিকাকে সর্বাধিক টেকসই ব্যবস্থায় নেতৃত্ব দিচ্ছে।
পরিবেশগত ভারসাম্যের পরিপ্রেক্ষিতে বায়ু, মাটি এবং পানি দূষণের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে, কুয়েত পঞ্চম অবস্থানে এসেছে এবং সেই ক্ষেত্রে বাহরাইন ভাল পারফর্ম করেছে তৃতীয় অবস্থানে দেশটি।
প্রতিবেদনটি করা হয়েছিল কুয়েতে অবস্থিত একটি গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন পরিষেবা সংস্থার অ্যাজিলিটি কমিশন দ্বারা। যা বিশ্বব্যাপী যত বিশেষজ্ঞ আছে আন্তর্জাতিক গবেষণা এবং বিশ্লেষণে জন্য প্রতিটি নেতৃস্থানীয় ব্যবসার জেনেভা-ভিত্তিক ফার্ম ।
গবেষণা দলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “হাইড্রোকার্বন শক্তি নিঃসরণে পরিবর্তনে (জিসিসি) আওতাভুক্ত ছয়টি দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো র্যাঙ্কিংয়ের নীচে রয়েছে।জাতীয় এবং কর্পোরেট পর্যায়ে শক্তির সরবরাহ, এবং পুর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার, ভর্তুকি এবং কর, শক্তি-পরিবর্তনের সাথে সাথে দেখা যায়।”
এনার্জি ট্রানজিশনের নেতারা হলেন উগান্ডা, নাইজেরিয়া, রুয়ান্ডা, কেনিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার। দেশগুলিকে তুলনা করার জন্য স্কোরকার্ডটিতে ৪৮টি কর্মক্ষমতা এবং অগ্রগতি সূচক ব্যবহার করেছে। সূচকগুলির মধ্যে রয়েছে তথ্য, নিয়ন্ত্রক কাঠামো, নীতি মূল্যায়ন, প্রণোদনা আবার কর্পোরেট অনুশীলনের দিক দিয়ে আছে যেমন সবুজ বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি, টেকসই অবকাঠামো এবং পরিবহন, গভর্নেন্স এবং রিপোর্টিং, এনার্জি ট্রানজিশন, পরিবেশগত ইকোসিস্টেম এবং সার্কুলারিটি।
জরিপ অনুযায়ী কর্পোরেট অনুশীলন এবং অগ্রগতি ক্যাপচার করার জন্য, হরাইজন ১৭টি দেশের ৬৪৭জন ব্যবসায়িক নির্বাহীর উপর আরুপিত হয়েছে।
গবেষণাটি মূলত করা হয়েছে ‘টেকসই অবকাঠামো এবং পরিবহন’, ‘শক্তির রূপান্তর’, ‘পরিবেশগত বাস্তুতন্ত্র’, ‘সবুজ বিনিয়োগ’, ‘উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি’, এবং ‘শাসন ও প্রতিবেদন’-কেও স্পর্শ করে।
আরও বলেন যে, জিসিসি দেশগুলি টেকসই উন্নয়নে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করছে, যা তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উত্সাহিত করবে। কারণ, বর্তমান বিশ্বব্যাংকের অনুমান ২০৫০ সালের মধ্যে জিসিসির অর্থনৈতিক আউটপুট $ ৬ ট্রিলিয়ন হবে। এই পরিসংখ্যানটি $১৩ ট্রিলিয়নের উপরে উন্নীত করবে।
স্কোরকার্ড রিপোর্টি এসেছে ঠিক যখন সিওপি২৮, জাতিসংঘের নেতৃত্বে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন, ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর দুবাইতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যেখানে ওমান একটি মূল অংশীদার এবং বৈশ্বিক অংশীদারদের কাছে কাগজপত্র উপস্থাপন করবে। অক্টোবরে জারি করা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) রিপোর্টে মিনা অঞ্চলে ডিকার্বনাইজেশন এবং শক্তির স্থানান্তর বিষয়ের ফলাফলগুলিকে শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post