ওমানি নাগরিকরা করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মেনে চলাতে আগ্রহী। যার কারণে আজ আমাদের দেশে সুস্থতার হার সবচেয়ে বেশি। আমরা আশা করি অতিদ্রুত এই ভাইরাস মোকাবেলায় সফলতা পাবো। রবিবার এক বিবৃতিতে এই কথা বলেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সুপ্রিম কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ হামুদ বিন ফয়সাল আল বুসাইদী।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় সুপ্রিম কমিটি দেশের বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই সিদ্ধান্তগুলোর চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিলো ওমানের নাগরিক সমাজকে করোনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা করা।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে যারা ওমান যেতে পারবেন
ওমানে লকডাউন কার্যকর করা ও রাতে চলাচল নিষেজ্ঞার বিষয়ে মন্ত্রী জানান যে, এই লকডাউনের উদ্দেশ্য ছিলো ওমানের নাগরিক ও তাদের জমায়েত কমিয়ে নিয়ে আসা। বিশেষ করে ঈদ-উল আযহার সময় ওমানে বিভিন্ন স্থানে নাগরিকরা জমায়েত তৈরি করে। এই জমায়েত কমাতেই মূলত লকডাউন কার্যকর করা হয়। কারণ দেশটিতে ঈদের জমায়েত বিপুল সংখ্যক লোকের সমাগম ঘটে। যেখান থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারতো। তিনি আরো বলেন, রাতে চলাচলের নিষেধাজ্ঞা বা লকডাউন চলাকালীন দেশটির সকল নাগরিক তা মেনে চলেছে। যার জন্য সকল নাগরিকদের ও সুপ্রিম কমিটির সকল সদস্যদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান মন্ত্রী।
আরো পড়ুনঃ ওমানের ৯টি গুরুত্বপূর্ণ পদে নতুন নিয়োগ দিলেন সুলতান
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তগুলি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য ওমানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) এবং রয়েল ওমান পুলিশ (আরওপি) কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। সেইসাথে দেশটির সকল স্বাস্থ্য কর্মীদের এই মহামারী মোকাবেলায় দুর্দান্ত প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরো দেখুনঃ ওমান থেকে এবং দেশ থেকে যারা বিশেষ ফ্লাইটের টিকেট পাবেন
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post