জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেলো গাজার তিনটি হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম। ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধের মুখে আল শিফা এবং আল কুদস হাসপাতালে আর রোগীদের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এরই মধ্যে আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় তিন নার্স নিহত হয়েছেন। সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মারা গেছে তিন শিশুসহ অন্তত ১২ রোগী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নিশ্চিত করেছে, গাজা সিটির আল শিফা হাসপাতালের সেবা ব্যবস্থা আর কাজ করছে না। হাসপাতালটির অন্তত তিনজন নার্স ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘ বলেছে, গত ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সংকটের কারণে এ পর্যন্ত দুই অপরিণত শিশুসহ ১২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তৃতীয় আরেক শিশুর মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, আল শিফা ও আল কুদস হাসপাতালের পাশাপাশি কামাল আদওয়ান হাসপাতালেও জ্বালানির অভাবে সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
কামাল আদওয়ান হাসপাতালের প্রধান আহমেদ আল-কাহলুত জানিয়েছেন, সেখানে শত শত রোগী ছাড়াও পাঁচ হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ রয়েছেন। কিন্তু ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের ভয়ে কেউ বাইরে যেতে পারছেন না।
জাতিসংঘের জানিয়েছে, ইসরায়েলি স্নাইপাররা হাসপাতাল থেকে বের হওয়া বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি করছে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post