সিঙ্গাপুরের ফল ডুরিয়ান। সাথে আছে রাম্বুটান, সফেদা, কটবেল, থাই শরীফ ফল, স্টার আপেল, লিচু, কুল আমড়া, জামসহ ২০ প্রকারের বেশি ফল গাছ। শতাধিক ফল গাছ কে বা কারা রাতের আঁধারে কেটে ফেলেছে।
কুমিল্লা নগরীর গোয়ালমথন এলাকায় এই বাগানের অবস্থান। কয়েক বছর আগে সিঙ্গাপুর প্রবাসী আবুল খায়ের বাগানটি গড়ে তোলেন। আবুল খায়েরের মা মাজেদা বেগম কাটা গাছ জড়িয়ে কাঁদছেন। তিনি দুই হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার নিকট বিচার চাইছেন। আবার কখনও স্বজন হারানোর মতো বুক চাপড়ে আহাজারি করছেন।
বাগানে গিয়ে জানা যায়, আশপাশের কয়েক গ্রামে এই রকম ফলের বাগান নেই। প্রতিবেশীরা প্রায় বাগানটি দেখতে আসেন। প্রতিদিন পরিবারের লোকজন পানি দেন, সার দেন। গাছগুলো বড় হচ্ছে, বড় হচ্ছে মালিকের স্বপ্ন। কয়েক বছর আগে গড়ে তোলা এই বাগানে ফল আসার সময় হয়েছে।
রবিবার রাতে ২০ প্রকারের শতাধিক ফল গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কিছু গাছের গোড়া কুপিয়ে রাখা হয়েছে। কেটে ফেলা হয়েছে শিম গাছও। গ্রামবাসীদের বাগানের পাশে এসে সমবেদনা জানাতে দেখা গেছে। আবুল খায়েরের ভাই মামুন ও সেলিম জানান, এখানে আমাদের ২০ শতক জমি। বড় ভাইয়ের শখ বাগান করার। তিনি সিঙ্গাপুর থেকেও বীজ পাঠিয়েছেন।
আমরা বিভিন্ন নার্সারি থেকে গাছ সংগ্রহ করেছি। এখানে মোটর বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করেছি। রবিবার বিকালে দেখে গেলাম সতেজ বাগান, সোমবার সকালে বাগানে গিয়ে দেখি গাছগুলো কেটে রাখা হয়েছে। আমরা ধারণা করছি কিছুদিন আগে প্রতিবেশী এক ছেলে কলার ছড়ি কেটে নিয়ে যায়। এনিয়ে শালিস হয়েছে। তার পরিবার প্রতিশোধ নিতে এটা করতে পারে।
আমরা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েছি। কাউন্সিলরও বাগান দেখে গেছেন। সামাজিক ভাবে সমাধান না হলে আমরা আইনের আশ্রয় নেবো। স্থানীয় সর্দার মালেক মিয়া ও আবদুর রাজ্জাক বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। গাছের সাথে আবার কিসের শত্রুতা। আমরাও চাই দোষীদের সাজা হোক। যাতে অন্য কারো ক্ষতি করতে না পারে।
স্থানীয় কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার বলেন, অভিযোগ পেয়ে বাগান পরিদর্শন করেছি। কাটা গাছগুলো দেখে খারাপ লেগেছে। বাগানের মালিক যাদের সন্দেহ করে তাদের ডেকেছি। আশা করি একটা সমাধান করতে পারবো।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post