যাকে খুনের অভিযোগে মামলা, শুনানি চলার সময় উপস্থিত হয়ে শোরগোল ফেলে দিল সেই ‘নিহত’ বালক। শুনানি কক্ষে ঢুকেই সে চিৎকার করে বলে উঠল, ‘আমি বেঁচে আছি হুজুর।’
শুক্রবার এমনই নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্টে। বালকের বক্তব্য শুনে পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ আদালত।
ভারতের উত্তর প্রদেশের পিলভিটের বাসিন্দা ১১ বছরের বালক অভয় সিংকে খুন করেছেন তারই নানা-নানি। এমনই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বালকটির বাবা। কিন্তু নানা-নানিকে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকে অভয়। দ্বারস্থ হয় এলাহাবাদ হাইকোর্টেরও। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত হওয়ার পর সেখানেও পৌঁছে যায়।
বালক জানায়, সে মরেনি। ওই বালক আদালতে বলে, ‘আমি নিরাপদে আমার নানা-নানির সঙ্গে রয়েছি। পুলিশ এসে আমার নানা-নানিকে হুমকি দিয়ে গেছে। আমি তাদের সঙ্গে থাকতে চাই। এটাও চাই যে, মামলাটা এখানেই বন্ধ হোক।’
বালকের এই বক্তব্য শোনার পর উত্তর প্রদেশ সরকার ও পিলভিটের পুলিশ সুপারের কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন চেয়ে পাঠিয়েছেন শীর্ষ আদালত। এর পাশাপাশি আদালত জানিয়েছেন, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ওই বালক ও তার নানা-নানির বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না।
বালকটির আইনজীবী কুলদীপ জৌহরি জানিয়েছেন, ২০১৩ সাল থেকে নানা-নানির বাড়িতেই থাকে তার মক্কেল।
পণ না দেওয়ায় বালকের বাবার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। বালকের নানা এই অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। বালকের বাবা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাই প্রতিশোধ নিতেই বালকটির নানাবাড়ির লোককে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ওই আইনজীবী। আগামী জানুয়ারি মাসে আবার এই মামলার শুনানি হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post