বর্তমান সরকারের সর্বশেষ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ব্যয় এক ধাক্কায় ৪ হাজার ৪০২ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৮ হাজার ৪৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ৪ হাজার ৬৩৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। শতাংশের হিসাবে প্রথম সংশোধনীতে প্রকল্পটির ব্যয় বেড়েছে ৯৪.৯৬ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) একনেক সভায় প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতাধীন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
যেসব এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে, প্রধান কার্যালয়; ৭২টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস; ৮০টি বাংলাদেশ মিশন; ১টি ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট অফিস; ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার, যশোর; দেশের ৩টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ২টি স্থলবন্দরে ও ২২টি অন্যান্য স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল সিস্টেম; ৭২টি এসবি/ডিএসবি অফিস; মিউনিখ, জার্মানি।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য বলা হয়েছে, বহির্বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সর্বশেষ উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন পাসপোর্ট ইস্যু; বাংলাদেশি পাসপোর্টের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও বহির্বিশ্বে এর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি এবং ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বাংলাদেশি নাগরিক ও আগত বিদেশি নাগরিকগণের সুষ্ঠুভাবে গমনাগমন সুনিশ্চিত করা হবে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, অনাবাসিক ভবন নির্মাণ; ২৫টি যানবাহন ক্রয়; সার্ভার স্টোরেজ; ডাটা ব্যাকআপ সিস্টেম; বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট সিস্টেম স্থাপন; কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক; টেলিযোগাযোগ সরঞ্জামাদি; ক্যামেরা ও আনুষঙ্গিক; বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি; অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামাদি ইত্যাদি ক্রয়; গবেষণাগার; অফিস সরঞ্জামাদি ও আসবাবপত্র ক্রয়; ই-পাসপোর্ট পার্সোনালাইজেশন মেশিন; ই-গেট; ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার; আইরিশ-স্ক্যানার; সিগনেচার প্যাড; ই-পাসপোর্ট রিডার; ২ডি বারকোড রিডার; স্মার্ট কার্ড রিডার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিসহ প্রকৌশল ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয় এবং কম্পিউটার সফটওয়ার।
প্রকল্প সংশোধনের কারণে বলা হয়েছে, সিডি ভ্যাট এবং ট্যাক্স বৃদ্ধি; জার্মানি থেকে আমদানিকৃত ই-পাসপোর্ট বুকলেট এবং এর কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক উপকরণসমূহ সংরক্ষণের জন্য বিশেষায়িত সংরক্ষণাগার ভাড়া অন্তর্ভুক্তকরণ; ব্যাকেন্ড ভেরিফিকেশন সহজ করা; হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ক্রয়; পাসপোর্ট তৈরির জন্য অতিরিক্ত কাঁচামাল ও বুকলেট আমদানি; অতিরিক্ত জনবলের বেতন-ভাতা অন্তর্ভুক্তকরণ; ২টি গাড়ি (কোস্টার) ভাড়া অন্তর্ভুক্তকরণ; ডিএসএলআর ক্যামেরা বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি; প্রশিক্ষণ এবং ভ্রমণ অঙ্গে ব্যয় বৃদ্ধি; আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এবং স্থলবন্দরসমূহে ই-গেইট সেবা চালু করা; প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয় অন্তর্ভুক্তকরণ এবং কয়েকটি খাতের ইকোনমিক কোড পরিবর্তন।
প্রকল্পটির বিষয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সর্বশেষ উন্নত নিরাপত্তা প্রযুক্তি সম্পন্ন ই-পাসপোর্ট ইস্যুর মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। প্রথম সংশোধনীর ফলে প্রকল্পটি জুলাই ২০১৮ থেকে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন শেষ করবে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post