কক্সবাজারে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আজ দীর্ঘ প্রতীক্ষিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন। এটি পর্যটকদের জন্য একটি বড় সুযোগ।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন।
এর আগে শনিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে আকাশপথে রওনা হয়ে ১০টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের ঝিলংজায় আইকনিক রেল স্টেশনে আসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির, রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল হাসান, দোহাজারী কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণকাজের প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন।
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথ ও রেলস্টেশন উদ্বোধনের পর মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। এরপর বেলা ১টায় আইকনিক স্টেশন থেকে রামুর উদ্দেশে ছেড়ে যাবে প্রথম ট্রেন। লাল-সবুজ সেই ট্রেনে চড়েই রামু যাবেন সরকারপ্রধান।
উদ্বোধন আরো ১৯ প্রকল্প
শনিবার কক্সবাজার সফরে রেললাইন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন ও প্রথম টার্মিনালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন এ তিনটিসহ মোট ১৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন শেখ হাসিনা।
এর মধ্যে আছে-, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে কক্সবাজারের রামু উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) নির্মাণ প্রকল্পটিও আছে উদ্বোধনের তালিকায়া। কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাঁকখালী নদীর উপর সেতু ও অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ, ২১২ একর ভূমি ভরাট, ৪ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার স্লোপ প্রটেকশন বাঁধ নির্মাণ, সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ডিজাইন ও স্থাপনাকরণ প্রকল্প এবং গোরকঘাটা-শাপলাপুর সড়ক প্রসস্তকরণ।
পাশাপাশি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প মাতারবাড়ীতে ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুতুবদিয়া দ্বীপকে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তকরণ প্রকল্পও উদ্বোধন করবেন তিনি।
এছাড়া কৈয়ারবিল থেকে চৌকিদারপাড়া পর্যন্ত সিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা পৌর বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কাজ এবং জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ইউনুছখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, রত্না পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হবে।
টেকনাফ উপজেলার মাল্টিপারপাস ডিজাস্টার রিসিলেন্ট শেল্টার কাম আইসোলেশন সেন্টার, রামুর জোয়ারিনালা ইউনিয়নের মহসীনা বাজার ভায়া নন্দখালী সড়কে আর্চ ও আরসিসি গার্ডার ব্রিজ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার বেলা ৩টায় তিনি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরে পৌঁছাবেন। সেখানে গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন এবং গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এরপর বিকালে মাতারবাড়ী টাউনশিপ মাঠে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন। জনসভা শেষে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post