হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রা ডলার ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে বড় ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিমানবন্দরের বেশ কয়েকটি ব্যাংকের শাখা, বুথ ও মানি চেঞ্জার্স প্রতিষ্ঠান এসব অনিয়মে জড়িত। বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা প্রবাসী ও অন্য অনেকেই বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি করে টাকা নেন। আবার অনেকে বিদেশে যাওয়ার সময় ডলার বা অন্য বৈদেশিক মুদ্রা কিনে নিচ্ছে।
তবে এগুলোর বেশিরভাগই বৈধভাবে বেচাকেনা না হয়ে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এভাবে ব্যাংকিং নিয়ম-কানুন মেনে ডলার বেচাকেনা না হওয়ায় প্রবাসী বা বিদেশিদের বিক্রি করা ডলার দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে আসছে না।
জানা যায়, গড়ে প্রতিটি ব্যাংক, বুথ ও মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিদিন ২শ থেকে ৩শ প্রবাসীর কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করলেও যথাযথ বিল-ভাউচার দিচ্ছে মাত্র ২৫ থেকে ৫০ জনকে। সম্প্রতি ভুক্তভোগী ১৫ প্রবাসী বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে ব্যাংক কর্মকর্তার নামসহ অভিযোগ দাখিল করেছেন।
তারা বলছেন, ডলার ও বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করলেও সঠিক ভাউচার দেওয়া হয়নি। অনেক চাপাচাপির পর ভুয়া বিল-ভাউচার ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিমানবন্দরকেন্দ্রিক কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তা ও একাধিক মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী প্রকাশ্যে বেআইনিভাবে ডলার ব্যবসা করে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। এই খাত থেকে সিন্ডিকেটের প্রতিদিন গড়ে ২-৩ কোটি টাকা আয় হচ্ছে। আর দুর্নীতির কারণে মাসে ৫০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ হারাচ্ছে সরকার।
নিয়ম অনুযায়ী বিমানবন্দরে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব অর্থে বৈদেশিক মুদ্রা কেনার কথা। কিন্তু ব্যক্তিগত অর্থে বৈদেশিক মুদ্রা কিনে সেগুলো চড়া দামে বিক্রি করছেন কর্মকর্তারা। পরে এসব ডলার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post