মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের দুর্দশার বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ে চিঠি দেয়ার পর এবার নড়েচড়ে বসেছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়ে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। মানবসম্পদ মন্ত্রী ভিশিবকুমার বলেছেন, চিঠিতে উল্লেখ করা প্রতিকূল পরিবেশ এবং বিদেশী কর্মীদের ঋণের বোঝার সমাধানে এই অভিযান শুরু করা হয়েছে।
তিনি জানান, মালয়েশিয়া আইন মোতাবেক এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে ভাবছে। এর আগে মালয়েশিয়া সরকারের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের দুর্দশার কথা জানিয়ে জাতিসঙ্ঘে চিঠি দেন অভিবাসী অধিকারকর্মী অ্যান্ডি হল। চিঠিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় চাকরিহীন ও ঋণের জালে জড়িয়ে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকরা ‘চরম পরিস্থিতি’র মধ্যে আছেন।
চিঠিতে তিনি মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের জীবনযাত্রার নিম্নমান, বিশেষ করে ছোট জায়গায় বেশি মানুষের থাকা, অপর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, সীমিত পরিমাণ খাবার ও ঋণভারের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
অ্যান্ডি হল বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকার স্বীকার করেছে, দেশটিতে অতিরিক্ত আড়াই লাখের বেশি বাংলাদেশী শ্রমিক আছেন। তারা জোরপূর্বক কাজ, আধুনিক দাসত্ব ও ঋণের বেড়াজালে আবদ্ধ। এসব শ্রমিকরা খুবই ছোট জায়গায় গাদাগাদি করে থাকছেন। এজন্য বড় ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post