চীনের ওপর নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টায় ২০২৩ সালে আইফোনের প্রায় ১৪ শতাংশ ভারতে তৈরি করেছে অ্যাপল। এজন্য ভারতে অনেক অর্থ বিনিয়োগ করেছে এই প্রযুক্তি কোম্পানি। অ্যাপলের তথ্যদাতা ওয়েবসাইট নাইনটুফাইভম্যাক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।
প্রযুক্তিবিষয়ক বিশ্লেষক মিং–চি কু গত বুধবার বলেন, বিশ্বব্যাপী আইফোন রপ্তানির প্রায় ১২ থেকে ১৪ শতাংশ ভারতে সংযোজিত হয়েছে। ভারতে ৮০ শতাংশ আইফোন তৈরি করে ফক্সকন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের মধ্যে চীনের চেংচৌ প্রদেশে ফক্সকনের উৎপাদন ৪৫ শতাংশ থেকে কমে ৩৫ শতাংশ হবে। থাই-ইউয়েন প্রদেশেও এই উৎপাদন ৮৫ শতাংশ থেকে কমে ৭৫ শতাংশ হতে পারে। লাক্সশেয়ার নামের আরেক কোম্পানিও আইফোন উৎপাদনের জন্য ভারতে ব্যবসা সরিয়ে নিচ্ছে।
বহু বছর ধরে আইফোন উৎপাদনের জন্য চীনের ওপর নির্ভর করত অ্যাপল। কিন্তু করোনা মহামারির পর স্বাস্থ্য ঝুঁকির জন্য চীনে আইফোনের সংযোজন বন্ধ করে অ্যাপল। এর ফলে প্রতি সপ্তাহে কয়েক বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয় কোম্পানিটি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব অ্যাপলের চীনের সরবরাহের ওপর প্রভাব ফেলে।
সম্প্রতি উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনার কথা বিবেচনা করছে অ্যাপল। এ জন্য ব্রাজিল ও ভিয়েতনামে নতুন কারখানা স্থাপনের বিষয়ে ভাবছে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদে চীনকে প্রতিস্থাপন করার বিশাল সম্ভাবনা দেখিয়েছে ভারত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্যে প্রায় ৭০০ কোটি ডলার মূল্যের আইফোনের উৎপাদন ভারতে সরিয়ে নিয়েছে অ্যাপল। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার কোটি ডলারে নিতে চায় অ্যাপল। প্রথমবারের মত চীনে উৎপাদনের পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভারতে আইফোন সংযোজন শুরু করে অ্যাপল।
জানা যায়, ২০২৪ সালের শেষ দিকে ভারতের কারখানায় আইফোন ১৭ এর প্রাথমিক উৎপাদন শুরু হবে। এর ফলে চীনের ওপর অ্যাপলের নির্ভরতা আরও কমবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post