হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে আগামী ২০২৪ সালের হজ ফ্লাইটের ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছে। রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠিটি পাঠান হাবের সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
চিঠিটি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ডাক ও বিতরণ শাখা গ্রহণ করেছে। হাব জানায়, এবার হজের বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা ধরা হয়েছে। তবে এই ভাড়া দেড় লাখ টাকা ধরা সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে হাব জানিয়েছে, ‘আপনার সরাসরি দিকনির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে এবং বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা সৌদি সরকারের কাছেও প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশের হজযাত্রীদের কল্যাণে ও সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে আপনার নেওয়া সব পদক্ষেপ এরই মধ্যে সর্বমহলে বিশেষ করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে প্রশংসিত ও সমাদৃত হয়েছে।
হজযাত্রীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রথা বাতিল, আধুনিক ই-হজ ব্যবস্থাপনা, হজযাত্রীদের সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্নকরণ, আশকোনা হজ ক্যাম্প সংস্কার ও বর্ধিতকরণসহ হজযাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনকল্পে সামগ্রিক হজ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য আপনি যে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন তা বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনার ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
চিঠিতে হাব ‘২০২৪ সালের হজের বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত ভাড়া বিগত বছর থেকে ২৯৯৭ টাকা কম হলেও, বিভিন্ন বিষয়াদি বিবেচনায় আরও কমানো সম্ভব। যেহেতু বিমান একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, তাই তাদের একক কর্তৃত্বে ভাড়া নির্ধারণ যথাযথ হয়নি বলে হাব কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ মনে করে। বর্তমানে এয়ারলাইন্সগুলো প্রায় ৭৫ হাজার টাকায় ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রিটার্ন টিকিট বিক্রি করছে এবং প্রায় ২০% আসন খালি রেখে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। সে হিসাবে ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটের সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা বিমান ভাড়া হতে পারত।’
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে সাধারণ প্যাকেজের মূল্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। আর বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। সাধারণ প্যাকেজের ব্যয় ২০২৩ সালের হজ প্যাকেজের চেয়ে ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কম। আর বিমান ভাড়া ২ হাজার ৯৯৭ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে, ২০২৪ সালের ১৬ জুন হজ শুরু হবে। বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারিভাবে ১ লাখ ১৭ হাজার জন যাবেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post