প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, আমরা সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করেছি ঠিকই কিন্তু এখনও লিবিয়ায় কর্মী যাওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়নি। পদ্ধতি ঠিক না করা পর্যন্ত আমরা কিন্তু কর্মী পাঠাব না। ফলে আদম ব্যবসায়ীরা পয়সা নেওয়া শুরু করলেও আমি কর্মীদের বলতে চাই, তারা যেন এখনি কোনো আর্থিক লেনদেনে না যায়। আজ সোমবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা লিবিয়ার ব্যাপারে এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমাদের কোনো কার্যক্রমও নেই। কারণ তাদের শ্রম মন্ত্রী আসার কথা রয়েছে। কিন্তু কবে আসবে তা আমরা এখনি বলতে পারছি না।
আর আমরাও যে জোর দিয়ে বলব এখনি আসো তাও আমরা বলতে পারছি না। কারণ, সামনে আমাদের নির্বাচন। আমাদের এখন নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য ওইদিকে বেশি চিন্তা করতে হচ্ছে।
ফলে তাদের মন্ত্রী আসার আগে আমাদের এই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। তাই আমি কর্মীদের পরামর্শ দিচ্ছি তারা এখনই যাতে কোনো আর্থিক লেনদেনের মধ্যে না যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘মালয়েশিয়ার সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার ১ বছর পর কর্মী যাওয়া শুরু করেছিল। ঠিক সেভাবে লিবিয়ার শ্রমবাজারের অনেক কর্ম পদ্ধতি ঠিক করা বাকি। এগুলো আগে ঠিক করতে হবে।
এরপর কর্মী ওরা নিবে। তাই ওনারা কি পদ্ধতিতে নিবে সেই কর্মকৌশল ঠিক করে জানাবে। এখন ওইটা কবে জানাবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। শুধু আমাকে নিশ্চিত করতে হবে যে এই কর্মপদ্ধতিতে আমার কর্মীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
লিবিয়া কোন কোন খাতে কর্মী নিতে পারে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘লিবিয়াতে এখন নির্মাণ খাতে কর্মী নিচ্ছে। কারণ আগের বিল্ডিংগুলো সব ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে তারা এখন নতুন করে বিল্ডিং তৈরির কাজ করছে। ফলে তাদের নির্মাণ কর্মী অনেক বেশি লাগবে। তো আমাদের বেশ কিছু বাঙালি আছে যারা নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে এবং করবে। এরপর স্বাস্থ্য খাতেও তাদের প্রচুর পরিমাণে কর্মী প্রয়োজন। এখন দেখা যাক তারা কোন খাতে কেমন কর্মী নেয়। আর ওরা দক্ষ কর্মী চায়। তাই আমরা ওদেরকে জানিয়ে এসেছি যে তারা কোন সেক্টরে কি ধরনের কর্মী চায় তা যেন আমাদেরকে জানায়।’
লিবিয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমার মনে হয় না এখনই ওইখানে উৎকণ্ঠা কমে গেছে। কারণ, এখনও লিবিয়াতে পরিস্থিতি অনেকটাই অনিরাপদ অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল শ্রমবাজার যখন পুরোপুরি খুলে যাবে তখন বাংলাদেশ প্রথমে কর্মী পাঠাবে। যাতে আমরা অনেক কর্মী সেখানে পাঠাতে পারি। এখন ওইখানে বেশিরভাগ ইজিপ্টের কর্মী কাজ করে। কিন্তু এশিয়ার দিক থেকে তেমন কোনো কর্মী নেই।’
লিবিয়াকে ইতালির যাওয়ার রুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘এটা তো লিবিয়া নিজেরাই চায় যে তাদের দেশ থেকে ইতালি যাওয়া বন্ধ হোক। কারণ এতে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের চাইতে ওদের অসুবিধা বেশি। তার জন্য ওরাই এটা বন্ধ করার ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে হ্যাঁ, লিবিয়া হয়ে ইতালি বেশিরভাগ বাঙালিরাই যায়। সেজন্য আমরাও এটা বন্ধ করার বিষয় নিয়ে ভাবছি।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post