বিদেশ থেকে ফেরার সময় অনেকেই প্রিয়জনদের জন্য নানাবিধ উপহার নিয়ে আসেন। অনেক সময়ই আইনি জটিলতায় কাস্টমস বিভাগের কর্তারা সেই সব বিদেশি জিনিস বাজেয়াপ্ত করেন। আবার বিমানবন্দর দিয়ে গোপনে সোনা বা অন্যান্য মূল্যবান জিনিস পাচার করতে গিয়েও কাস্টমস বিভাগের হাতে ধরা পড়েন অনেকে। কিন্তু কাস্টমস বিভাগ এক বাক্স জিরাফের মল (পায়খানা) বাজেয়াপ্ত করছে, এমনটা সচরাচর শোনা যায় না। এমনই উদ্ভট ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিমানবন্দরে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর কেনিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্র আসার সময় এক নারী সঙ্গে করে এক বাক্স জিরাফের মল নিয়ে এসেছিলেন। পরে তাঁরা সেই মল ফেলে দিয়ে বাক্সটি ধ্বংস করেছেন।
জানা গেছে, ওই নারীর বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়াতে। কেনিয়া থেকে ফেরার সময় মিনেসোটা বিমানবন্দরে নেমে তিনি ইউএস কাস্টমস এবং বর্ডার প্রোটেকশন বিভাগের কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলেন, সঙ্গে করে একবাক্স জিরাফের মল নিয়ে এসেছেন। এরপরই কাস্টমস এজেন্সির কৃষি বিশেষজ্ঞরা ওই বাক্সটি বাজেয়াপ্ত করেন এবং ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
ওই নারীর দাবি, জিরাফের মল দিয়ে তিনি একটি নেকলেস তৈরির পরিকল্পনা করেছেন। আর সেই কারণেই সুদূর কেনিয়া থেকে বাক্স ভরে জিরাফের মল নিয়ে এসেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, যদি ওই নারী বিমানবন্দরে মল আনার কথা না জানাতেন, তাহলে বড় বিপদ হতে পারত। তিনি ওই মল ব্যবহার করে যদি গয়না তৈরি করতেন, তাহলে সেই গয়না থেকে কোনও ব্যক্তির গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারত। তিনি কোনও অজানা রোগে আক্রান্ত হতে পারতেন। তার থেকে সেই রোগ অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল।
আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় নিউক্যাসল ডিজিজ, আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু, ক্লাসিক্যাল সোয়াইন ফিভার, পা এবং মুখের বিভিন্ন রোগ এবং সোয়াইন ভেসিকুলার ডিজিজের মতো বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। সেখান থেকে কোনও বন্যপ্রাণীর মল আনলে, তার মধ্যে এই ধরনের কোনও রোগের জীবানু থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post