প্রবাসীদের বলা হয় রেমিট্যান্স যোদ্ধা। পরিবারের সচ্ছলতা ফেরানোর পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তারা। কিন্তু সেই প্রবাসী মারা গেলে যেন তার থাকে না কোনো মূল্য। হয়ে যান অবহেলার পাত্র। অর্থাভাবে অনেকের মরদেহ মর্গে পড়ে থাকে মাসের পর মাস। নয়তো চাঁদা তুলে মরদেহ পাঠাতে হয় দেশে।
এ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন পরিবার। হাসপাতালসহ বিভিন্ন খাতে লাখ লাখ টাকা গচ্ছা যায়। যে ব্যয় বহন করতে পারেন না দেশে থাকা বেশিরভাগ প্রবাসীর পরিবার। এজন্য মরার শোকের চাইতে লাশের দুশ্চিন্তার বোঝা তাদের দিনের পর দিন বয়ে বেরাতে হয়।
সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক ওমান প্রবাসীর স্বজনের সাথে আলাপ হয় প্রবাস টাইমের সাথে। তিনি দেশে লাশ ফেরাতে নানা দুর্ভোগ আর হয়রানির কথা জানিয়ে বলেন কতদিন এ দেশে তার লাশ পড়ে থাকবে বা আদৌ কি দেশে নেয়া হবে কিনা তা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। অথচ দেশে থাকা মৃতের পরিবার শেষবারের চাওয়া, অন্তত প্রবাসীর মুখটা দেখতে পারা।
গ্রিস প্রবাসী আজির উদ্দিন ১০ বছর ধরে দেশটিতে বসবাস করছেন। কয়েক মাস আগে একটি জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। বাধ্য হয়ে স্থানীয় কমিউনিটির লোকেরাই উদ্যোগ নিয়ে লাশের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
গ্রিসে মৃত্যু হওয়া প্রবাসীদের লাশ দ্রুত দেশে পাঠাতে কাজ করছে গ্রিস প্রবাসীদের একটি সংগঠন বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রবাসীরা চাইলেও এমন সুবিধা খুব বেশি পান না। তাই তাদের দাবী, সরকারী খরচে অন্তত লাশ দেশে ফিরিয়ে প্রবাসীর শেষ বিদায়টা যাতে সম্মানের সাথে করা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post