পবিত্র কোরআন মাজিদে ফিলিস্তিনকে উল্লেখ করা হয়েছে বরকতময় ও পবিত্র ভূমি হিসেবে। অথচ গত সপ্তাহান্তে ইসরায়েল বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে।
ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মোকাবিলা করতে মরিয়া হয়ে আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল, মসজিদের মতো স্থাপনাতেও বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে। হামাস যখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অপারেশন আল আকসা স্ট্রম নামের সামরিক অভিযান শুরু করে তখন সংঘাতের সূত্রপাত হয়। এবার গাজায় ইসরায়েলের হামলায় বাধা দিল প্রকৃতি।
জল, স্থল ও আকাশপথে হামলার প্রস্তুতির মধ্যে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পিছিয়ে গেল ইসরায়েলের স্থল অভিযান। বৈরী আবহাওয়ার কারণেই গ্রহণ করা হয়েছে এ সিদ্ধান্ত- ৩ সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে তেল আবিবের রাস্তাঘাটে পানি জমে গেছে।
গত ৭ অক্টোবর সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস হামলা চালানোর পর গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা করে ইসরায়েল। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী অবরুদ্ধ সরু এ উপত্যকার কাছে ৩ লাখেরও বেশি সেনা জড়ো করেছে তারা। তবে সীমান্তের কাছে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সেনা জড়ো করে রাখলেও এখনো স্থল অভিযান শুরু করেনি দখলদার ইসরায়েল।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, বর্তমানে গাজার আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে ইসরায়েলি বাহিনী এখনো গাজায় প্রবেশ করছে না। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত পেছাতে পারে স্থলাভিযান। আপাতত নিজ ভূখণ্ড থেকে উপত্যকার দিকে বোমাবর্ষণ এবং বিভিন্ন অভিযান অব্যাহত রাখবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম বলছে, রাজধানী তেলআবিব এবং আশপাশের এলাকায় হচ্ছে প্রবল বৃষ্টিপাত। রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে ফ্রন্টলাইনেও।
https://twitter.com/miixms_/status/1713354675733271004?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1713354675733271004%7Ctwgr%5Ea4173c5229d320461f7c170b10fcdd62aa744cc8%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.kalbela.com%2Fworld%2Fmiddle-east%2F31348
বলা হয়, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই গাজায় স্থলপথে হামলার পরিকল্পনা ছিল। তবে, মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ হওয়ায় উড়ানো যাচ্ছে না ড্রোন। শনাক্ত করা যাচ্ছে না হামাসের গোপন ঘাঁটি; স্থির করা যাচ্ছে না টার্গেট। আকাশপথে যথেষ্ট নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে না- তাই পেছানো হচ্ছে অভিযানের সময়। কারণ যদি তারা গাজায় ঢোকে তাহলে যুদ্ধবিমানের পাইলট ও ড্রোন তাদের নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খাবে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সর্বাত্মক অভিযান শুরু করতে আরও ২-৩ দিন সময় লাগতে পারে।
এ ছাড়া গাজায় হামাসের বিস্তৃত সুড়ঙ্গ নিয়েও কিছুটা চিন্তিত ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনী যখন গাজায় প্রবেশ করবে তখন এসব সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হতে পারে।
ইসরায়েলের ভয়, হামাস যেসব ইসরায়েলিকে ধরে নিয়ে গেছে তাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। সম্ভাব্য স্থল হামলার আগে গাজার উত্তরাঞ্চলের ১১ লাখ মানুষকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post