২০২১ সালে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছিল, তারা হামাসের ১০০ কিলোমিটার সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে দিয়েছে। তবে এই দাবির বিপরীতে হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনবার জানিয়েছিলেন, গাজা শহরের মাটির নিচে তাঁদের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ! এর মাত্র একটা অংশই ধ্বংস করতে পেরেছে ইসরায়েল।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আক্রমণের জের ধরে টানা এক সপ্তাহ গাজা শহরের ওপর ৬ হাজারের বেশি বোমা ফেলেছে ইসরায়েল। নির্বিচার বোমা হামলার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে ইসরায়েল বলছে, এসব ভবনের নিচ দিয়েই গড়ে উঠেছে হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক।
২০০৭ সালে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর গত দেড় দশকে সুদীর্ঘ এই নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে হামাস। এসব সুড়ঙ্গ শহর ছাড়িয়ে ইসরায়েলের সীমান্ত পর্যন্তও পৌঁছে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেই ইসরায়েলের মাটিতে এযাবৎকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে হামাস।
গাজা শহরের মাটির নিচে হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ককে ‘গাজা মেট্রো’ নাম দিয়েছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ। এর আগে প্রকাশ্যে আসা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, সুড়ঙ্গগুলো সাধারণ হামাগুড়ি দিয়ে চলার মতো নয়, বরং যথেষ্ট প্রশস্ত। একজন মানুষ সুড়ঙ্গের ভেতর দিয়ে কোনো বাধা ছাড়াই দৌড়াতে পারবে। সুড়ঙ্গগুলোর ভেতরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ছাড়াও রয়েছে গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রাখার জন্য গোপন নানা স্থান। সুড়ঙ্গের দেয়ালগুলো কংক্রিট দিয়ে তৈরি এবং দেখেই বোঝা যায় এগুলো বেশ শক্তপোক্ত। এতে দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করা কিংবা টিকে থাকার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে।
ড্যাফনি মনে করেন, হামাসের নেতারা এসব সুড়ঙ্গের ভেতরেই অবস্থান করেন এবং সেখান থেকেই বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা ও নেতৃত্ব দেন। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজে যাতায়াত ছাড়াও অস্ত্রশস্ত্র পরিবহনে এই সুড়ঙ্গগুলো বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। গাজা শহরের মাটির নিচে গড়ে তোলা হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়াই ইসরাইলের স্থল অভিযানের লক্ষ্য। তবে এই নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে গিয়ে সেনারা বড় ধরনের ফাঁদে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
https://www.youtube.com/watch?v=R7pYw348nHs
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post