রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় মো. রবিউল ইসলাম (২১) নামে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে একটি চক্র। পরে ওই শিক্ষার্থীর প্রবাসী বাবার ইমো নম্বরে ফোন দিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পল্লবী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের ২ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২। গ্রেপ্তাররা হলেন- অপহরণ চক্রের মূলহোতা মোছা. জেসমিন আক্তার (৩৫) এবং তার সহযোগী মো. রাজু (৪৫)। এসময় অপহৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়
বুধবার র্যাব-২ এর সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম বলেন, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার ২১ বছরের যুবককে অপহরণের পর ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন মোছা. জেসমিন আক্তার ও তার তার সহযোগী মো. রাজু। অপহৃত যুবক মো. রবিউল ইসলাম মোহাম্মদপুর থানার কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করে। গত ৭ অক্টোবর অপহৃত যুবক সকালে ব্যক্তিগত কাজে বাসা থেকে বের হয়ে বিকেলের মধ্যে বাসায় ফিরে না আসায় তার বড় ভাই সন্ধ্যার দিকে তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পায়। এই ঘটনার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
তিনি আরও বলেন, গত ৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অপহৃত মো. রবিউল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে অভিনব কায়দায় তার সৌদি প্রবাসী বাবার মোবাইলে ইমো অ্যাপের মাধ্যমে ফোন দিয়ে অপহরণের কথা জানিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ বিষয়ে অপহৃতের ভাই গত ৯ অক্টোবর র্যাব-২ এ একটি অভিযোগ দেন।
তিনি বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জোরপূর্বক টেনে হেঁচড়ে রবিউলকে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী অপহরণকারীরা তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং তার বাবার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় অপহৃতের বড় ভাই বাদী হয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post