সৌদি আরব যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট ও আঙ্গুলের ছাপ জমা দিতে সৌদি ভিসা অফিসে আসে তারা। সকাল থেকে লাইনে দাঁড়ানোর পর বিকেল ৪টা নাগাদ ভিসা অফিস থেকে জানানো হয়, আজকে আর জমা নেওয়া হবে না।
এমন কথার পর বিক্ষোভ শুরু করেন অভিবাসনে ইচ্ছুক কর্মীরা। পরে তাদেরকে ভেতরে নিয়ে পরদিনের জন্য টোকেন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মারুফ হাসান জানান, তিনি ৩ দিন ধরে পাসপোর্ট জমা ও আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার জন্য অফিসে বসে আছেন। অন্যদিন রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পাসপোর্ট জমা নেওয়া হলেও হঠাত করে চারটার সময়ই বলে দেয়া হচ্ছে আর নেওয়া হবে না। তার দাবী, হয় পাসপোর্ট জমা নিক নইলে টোকেন দিক। তবে কোনোটাই তারা করছে না।
একই অভিযোগ জানান রাজবাড়ির বাসিন্দা নাবির তালুকদার, ‘এখন পর্যন্ত শুধু সিরিয়ালেই দাঁড়িয়ে থাকলাম। আজকে ভাবলাম ফিঙ্গার আর পাসপোর্ট দিয়ে বাড়ি চলে যাব। এখন আবার বলছে আজ হবে না। এরকম ভোগান্তির কোনো মানে হয়। আমাদের কি তারা মানুষ মনে করে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সৌদি ভিসা অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রতিদিন ২ হাজার মানুষের পাসপোর্ট ও আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। ঘটনার দিনও তাই নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা সেটি না বুঝে হইচই শুরু করে দিয়েছে। যার কারণে তাদেরকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে টোকেন দেওয়া হয়েছে। পরদিন তারা এই টোকেন দেখিয়ে পাসপোর্ট ও আঙ্গুলের ছাপ দিতে পারবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post