হবিগঞ্জে ‘পীর’ সেজে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও বিপুল অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আব্দুল কাইয়ুম নামে এক প্রতারককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ। গ্রেফতারকৃত প্রতারক আব্দুল কাইয়ুম জেলার বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান খান সজল।
জানা যায়, ২০১৮ সালে ফটিকছড়ির একটি মাজারে কাইয়ুমের সঙ্গে পরিচয় হয় ভুক্তভোগী নারী। পরে কাইয়ুম ‘পীর’ সেজে ভুক্তভোগীর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতে থাকেন। কিন্তু ২০২১ সালে কাইয়ুম ভুক্তভোগীকে জানান, এ বাড়িটিতে থাকলে তাদের বড় বিপদ হতে পারে। দ্রুত বাড়িটি বিক্রি করা প্রয়োজন। পরে বাড়িসহ আরো কিছু জায়গা বিক্রি করে প্রায় ৭০ লাখ টাকা নিয়ে ভুক্তভোগী নারী হবিগঞ্জ চলে আসেন।
এদিকে হবিগঞ্জের ভাদৈ এলাকায় আট শতক জায়গা ক্রয় করেন। পরে সেখানে ঘর নির্মাণ করে সন্তানদের নিয়ে ভুক্তভোগী নারী বসবাস করতে থাকেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন কাইয়ুম। এতে ভুক্তভোগী নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর ৫ জুন প্রতারক কাইয়ুমের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান খান সজল জানান, ওই মামলায় অভিযুক্ত কাইয়ুম গত ৮ আগস্ট উচ্চ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ তা নামঞ্জুর করে কাইয়ুমকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কাইয়ুম হবিগঞ্জে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post