মার্কিন ধনকুবের ব্রায়ান জনসন চিরতরুণ থাকার জন্য নানা রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। নিজের শরীরকে ১৮ বছর বয়সে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি নানা রকম শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া প্রতিদিন তিনি ১১১টি ওষুধ খান। ৪৬ বছর বয়সী ব্রায়ান জনসন বছরে প্রায় ২২ কোটি ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ টাকা (২০ লাখ ডলার) খরচ করছেন এই প্রচেষ্টার জন্য। তিনি বিশ্বাস করেন, এই প্রচেষ্টা সফল হলে তিনি চিরতরুণ থাকতে পারবেন। ব্রায়ান জনসন সম্প্রতি টাইম সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার এই প্রচেষ্টার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি চিরতরুণ থাকতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, এই প্রচেষ্টা সফল হলে আমি মানুষের জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারব।”
ব্রায়ান জনসন বলেন, তরুণ হওয়ার জন্য শারীরিক অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে তিনি শরীরে বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করেন। মাথায় বিশেষ একটি বেসবল ক্যাপ পরেন, যা তাঁর মাথার ত্বকে লাল আলো দেয়। নিজেই নিজের মলের নমুনা সংগ্রহ করেন এবং রাতে জননাঙ্গের সঙ্গে একটি ছোট জেট প্যাক সংযুক্ত করে ঘুমান।
ব্রায়ান জনসন তাঁর পুরো শরীরকে বয়সরোধী অ্যালগরিদমে পরিণত করতে চান। তাঁর লক্ষ্য হলো ৪৬ বছর বয়সী শরীর যেন ১৮ বছর বয়সী তরুণের শরীরের মতো কাজ করে। মাত্র ৩০ বছর বয়সে নিজের ভাগ্য বদলে ফেলেছিলেন ব্রায়ান। সে সময় তিনি লেনদেন প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান ব্রেইনট্রি পেমেন্ট সলিউশনস টু ইবে নগদে ৮০০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধনকুবের ব্রায়ান বৈদ্যুতিক অডি গাড়ি নিজেই চালিয়ে যাতায়াত করেন। তবে তিনি অনেক ধীরগতিতে গাড়ি চালান। লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায় তিনি ঘণ্টায় ১৬ মাইল বেগে গাড়ি চালান। গাড়ি চালানোর আগে ‘ড্রাইভিং সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাপার’—এ আপ্তবাক্য মনে মনে পড়ে নেন।
ফরচুন সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ বছর বয়সে শরীরকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে নিজের কিশোর ছেলের সঙ্গে রক্তও বদল করেছেন ব্রায়ান। দিনে শতাধিক ওষুধ খান তিনি। আর প্রতিদিন শরীরের চর্বি পরীক্ষা ও রুটিন এমআরআই করার জন্য ৩০ জন চিকিৎসকের একটি বিশেষজ্ঞ দল আছে তাঁর। তিনি সকাল শুরু করেন কোলাজেন, স্পার্মিডিন ও ক্রিয়েটিনের উপাদানসমৃদ্ধ স্মুদি দিয়ে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post