পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও তার অনুসারীরা ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের দায়িত্বে আসেন। এরপর পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনায় নিজেদের লোকজন বসিয়ে পরবর্তী তিন বছরে প্রতিষ্ঠানটি থেকে লুট করেছে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি। আর এসব লুটপাটে সহযোগিতা করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা। হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত পাঁচ সদস্যের কারণ উদঘাটন (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং) কমিটির প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খান এ কমিটির প্রধান। সম্প্রতি তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি বিশেষ পরিদর্শনের পর আগের পরিচালনা পর্ষদকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়। তৎকালীন পর্ষদের চার পরিচালককে অপসারণ করে উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও তার অনুসারীদের হাতে প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এ ধরনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ, পরিদর্শন বিভাগসহ তৎকালীন জিএম ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের দায়ী করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। এরপর ২০১৫ সালের নভেম্বরে উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও তার অনুসারীরা পিপলস লিজিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি ক্রমাগত সম্পদ হারাতে থাকে। বাড়তে থাকে দায়দেনা। চলতে থাকে লুটপাট।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক কর্মকান্ড, নিয়ম-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩ এর বিভিন্ন ধারায় স্পষ্ট বর্ণনা আছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইচ্ছামতো স্বাধীনতা ও একচ্ছত্র ক্ষমতা দিয়ে ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ছয়টি সার্কুলার জারি করে, যা ছিল সম্পূর্ণ আইনের উদ্দেশ্য ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনের ১৮ ধারার পরিপন্থী এবং এখতিয়ারবহির্ভূত। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ বেআইনি ও নজিরবিহীন উদারতাই পিপলস লিজিংয়ে নিয়ন্ত্রণহীন অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা ও আর্থিক খাতে উচ্ছৃঙ্খল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আসল শক্তি বলে মনে করে তদন্ত কমিটি। পিপলস লিজিং এসব সার্কুলার ব্যবহার করেই ব্যাংক আমানত থেকেও বেশি সুদের লোভ দেখিয়ে আমানত সংগ্রহ করে মানুষের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে এবং লুটপাট করেছে।
১৯৯৬ সালে পিপলস লিজিং গঠনের পর থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা এর কার্যক্রম নিয়ে উদাসীন ছিলেন। কোনো শেয়ার ক্রয় না করেই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বনে যান ডা. এইচবিএম ইকবাল। ব্যাংক কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সিকিউরিটিজ কোনো আইনে এর বৈধতা না থাকলেও তার বিষয়ে কোনো ধরনের আপত্তি তোলা হয়নি। পিপলস লিজিংয়ের ছয় পরিচালক বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন মর্মে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিএফআইএম ২০১৪ সালে পিপলস লিজিংয়ে বিশেষ পরিদর্শন পরিচালনা করে।
ওই পরিদর্শন থেকে দেখা যায়, ঋণের আড়ালে নিয়মবহির্ভূতভাবে পিপলস লিজিংয়ের পরিচালক শামসুল আলামিন গ্রুপ ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে, যার তৎকালীন বকেয়া স্থিতি ২৯৮ কোটি, অন্য পরিচালক মতিউর রহমান ১১৬ কোটি, খবির উদ্দিন মিঞা ১০৭ কোটি, বিশ্বজিৎ কুমার রায় ৬ কোটি এবং ইউসুফ ইসমাইল ১৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিএফআইএমের আরেকটি বিশেষ পরিদর্শনে গ্রিন রোডের ৬৬ দশমিক ৫৩ কাঠা জমি কেনাবেচার নামে ক্যাপ্টেন (অব.) মোয়াজ্জেম এবং অন্যান্য পরিচালক মিলে ১২৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে উদঘাটিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৫ সালের ৯ জুলাই পিপলস লিজিংয়ের তৎকালীন পরিচালক শামসুল আলামিন, মতিউর রহমান, খবির উদ্দিন, হুমায়রা আলামিন ও নার্গিস আলামিনকে অপসারণ করে। পরে ওই বছরের ১৮ নভেম্বর কোম্পানির চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম হোসেন পদত্যাগ করেন। একই দিনে উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও তার অনুসারীরা চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিযুক্ত হয়ে পিপলস লিজিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেন। ওই সময় পর্যন্ত কোম্পানির দায়দেনার চেয়ে সম্পদের পরিমাণ ৪৫৬ কোটি টাকা বেশি ছিল।
তথ্য বলছে, ২০১৫ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর পিপলস লিজিংয়ের মোট সম্পদ ছিল ২ হাজার ২৯২ কোটি টাকা। আর দায়দেনা ছিল ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। এর তিন বছর পর ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৫০৬ কোটি টাকায় নেমে আসে। বিপরীতে দায়দেনা দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকায়। মাত্র তিন বছরে পিপলস লিজিংয়ের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি স্রেফ ‘হাওয়া’ হয়ে গেছে।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদের মূল্য ছিল ১ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে দায়দেনা ছিল ৩ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি থেকে লুট হয়ে গেছে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত পাঁচ সদস্যের কারণ উদঘাটন (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং) কমিটির প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পিপলস লিজিংয়ে বিশদ পরিদর্শন পরিচালিত হয়েছে এবং ডিএফআইএমের ভিজিলেন্স সেলে বিভিন্ন ধরনের সাময়িক আর্থিক প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে আসত। কিন্তু ২০১৪ সালের বিশেষ পরিদর্শনের আগে কখনই এসব অনিয়মের কোনোটিই উদঘাটিত হয়নি। এগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগ, সেল বা শাখার ব্যর্থতা। ২০১৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপসমূহ থেকে প্রতীয়মান হয়, পিপলস লিজিংয়ের অনিয়ম উদঘাটন ও সুষ্ঠু পরিচালনার চেয়ে পরিচালনা পর্ষদ পি কে হালদারের লোকদের নিয়ন্ত্রণে দেওয়ার লক্ষ্যেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব বিশেষ পরিদর্শন পরিচালনা করা হয়।’
তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, ২০১৫ সালে দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও তার অনুসারীরা আগের বছরগুলোর পুঞ্জীভূত ক্ষতি দেখিয়ে পিপলস লিজিংয়ের ৯২৩ কোটি টাকা গায়েব করে ফেলে। ফলে আগের পরিচালনা পর্ষদের রেখে যাওয়া মোট সম্পদ কমে সপ্তাহের ব্যবধানে হয়ে যায় ১ হাজার ৯৮৩ কোটি। আর দায়দেনা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। তদন্ত কমিটির মতে, ‘এত কম সময়ের ব্যবধানে ৯২৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না।’
তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পিপলস লিজিংয়ের বিভিন্ন উৎস থেকে সৃষ্ট দায়দেনার পরিমাণ ২ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। এ টাকা ২০টি ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কখনো কলমানি কিংবা আমানত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। এ ছাড়া আমানত হিসেবে সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে ৮০৩ কোটি ও বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৪১৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে ঋণ দিয়ে ওই টাকা লুট করে নেয়।
এর ফলে একদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ঋণখেলাপি হিসেবে পিপলস লিজিংয়ের তালিকা যেমন যায়নি, তেমনি খুব সহজেই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা লুটপাট চালিয়ে গেছেন। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং যেসব ব্যাংক থেকে আমানত সংগ্রহ করা হয়েছে, সেসব ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অনুসন্ধান কমিটি মনে করে, ‘ব্যাংকগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে পিপলস লিজিংয়ের দায়িত্বশীলরা লুটপাট করেছেন। ব্যাংকের সহযোগিতা ছাড়া এভাবে লুটপাট কোনোভাবেই সম্ভব হতো না।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘উজ্জ্বল কুমার নন্দী গং পিপলস লিজিংয়ের পরিচালনায় আসার পর থেকে তিন বছরে বিভিন্ন উৎস থেকে ২ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করে। এর বিপরীতে বিনিয়োগ করে মাত্র ১২৬ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত ঋণ-লিজ-অগ্রিম থেকে আদায় হয়েছিল ২৮০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১৭৫ কোটি টাকা এফএএস ফাইন্যান্স এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের দায় সমন্বয় করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ আমানত সংগ্রহ ও মোটা অঙ্কের ঋণ-অগ্রিম আদায়ের পরও কোম্পানির আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়া বা তারল্য সংকট তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক ব্যাপার।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আগের বছরগুলোর পুঞ্জীভূত ঘাটতির নামে নব-উদ্ভাবিত কারসাজির মাধ্যমে উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও তার সহযোগীরা পিপলস লিজিংয়ের দেউলিয়া দশা করেছে। তারা আগের চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ঋণ আদায় ও সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও কোম্পানিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে অন্যায়ভাবে নিজেরা লাভবান হয়েছেন। এ ধরনের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে পিপলস লিজিংকে শেষ পর্যন্ত অবসায়নের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। এসব আর্থিক অনিয়ম ও অবৈধ কর্মকা-ের বিষয়ে সব পরিচালক ও ব্যবস্থাপনায় থাকা শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষভাবে দায়ী।’
পিপলস লিজিংয়ে লুটপাট চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার জন্য রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি (আরজেএসসি) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) দায়ী করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পিপলস লিজিংয়ে ২০১৫ সালের নভেম্বরে নির্ধারিত সর্বনিম্ন সদস্য সংখ্যার ঘাটতির কারণে পর্ষদ অকার্যকর হয়ে পড়লেও ওই পর্ষদ সভার মাধ্যমেই উজ্জ্বল কুমার নন্দীদের বেআইনিভাবে পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আরজেএসসি ও এসইসি এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নও তোলেনি এবং পদক্ষেপও গ্রহণ করেনি। পিপলস লিজিংয়ের জাল-জালিয়াতি এবং অর্থ আত্মসাৎ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নামসর্বস্ব প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি আনান কেমিক্যাল, ড্রাইনুন অ্যাপারেলস, লিপ্রো ইন্টারন্যাশনাল, জেনিথ হোল্ডিংস, জেফায়ার হোল্ডিংস, প্যারামাউন্ট প্রপার্টিজ আরজেএসসির রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার কারণেই এ ধরনের অপকর্ম করার সুযোগ পেয়েছে। এসব প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির অনেকের নিজস্ব কোনো অফিস নেই। আরজেএসসি সুষ্ঠুভাবে যাচাই-বাছাই না করেই কোম্পানিগুলোকে রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে। পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার ক্রয় ছাড়া আনান ও ড্রাইনের আর কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম দেখা যায়নি। পিপলস লিজিং থেকে কারসাজির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ছাড়া লিপ্রো ইন্টারন্যাশনাল, জেনিথ হোল্ডিংস, জেফায়ার হোল্ডিংস ও প্যারামাউন্ট প্রপার্টিজের কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি। অথচ আরজেএসসি এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তারা সময়মতো পদক্ষেপ নিলে পিপলস লিজিং থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের ঘটনা নাও ঘটতে পারত।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post