জব্দ স্বর্ণের জন্য তেমন গুদাম নেই সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগের। নিরাপত্তার কারণে দ্রুত তালিকা করে স্বর্ণ জমা দেয়া হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই জমা থাকে। তবে এসব স্বর্ণ চোখে দেখেননি ব্যাংকের ভল্টের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাও। স্বর্ণ চোরাচালানের অন্যতম রুট সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিভিন্ন সময়ে ছোটবড় কয়েকটি চালান ধরা পড়ে কাস্টম ও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে।
২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত জব্দ স্বর্ণের পরিমাণ ৪৫ কেজি ৭০৮ গ্রাম। যার বাজারমূল্য ২৫ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৭শ টাকা। এসব ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে ১৯টি। ১৭টির চার্জশিট ও একটি মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে পুলিশ।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা কখনোই জব্দ স্বর্ণ চোখে দেখেননি। বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ভল্টে জমা দেয়া হয় সেখানকার কর্মকর্তারাও দেখেননি এসব স্বর্ণ। তারা কাস্টমসের পাঠানো সিলগালা করা বাক্স রিসিভ করেন। আলামত হিসেবে জব্দ মালামালের বিবরণ থাকলেও তা খুলে দেখা হয় না।
আলামত না দেখে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করা নৈতিকতা বিরোধী ও আইনের লঙ্ঘন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে আলামত দেখতে চাইলে তার সুযোগ রয়েছে বলে জানান কাস্টমস কমিশনার। স্বর্ণ চোরাচালানের মতো স্পর্শকাতর মামলাগুলোকে আরো সতর্কভাবে পরিচালনার তাগিদ দিয়েছেন আইনজ্ঞরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post