দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় তিন লাখ প্রবাসীর বাস। তাদের অভিযোগ প্রতিনিয়ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। অনেকেই বৈধ কাগজ থাকা সত্ত্বেও ধরতে পারছেন না বিমান। হয়রানি এড়াতে গুনতে হয় অর্থ। আর যারা নতুন যেতে চান তাদেরকেও নানাভাবে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হয়। এমনকি আটকেও যায় অনেকের যাত্রা। আমজাদ হোসেন চয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসীদের কমিউনিটি ‘বাংলাদেশ পরিষদ অর্গানাইজেশন’র জয়েন্ট সেক্রেটারি। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে দেশটিতে থাকা এই প্রবাসী বলেন, ঢাকার সিন্ডিকেটের কাছে আমরা জিম্মি, বিশেষ করে ইমিগ্রেশনের সময়। আমাদের আটকে দেয়ার জন্য তারা আপ্রাণ চেষ্টা করেন। ওয়ার্ক পারমিট কবে শেষ হবে? এই কাগজ, ওই কাগজ এরকম করে নানাভাবে হয়রানির শিকার হই আমরা।
যারা নতুন বৈধভাবে যেতে চান তাদেরকেও নানাভাবে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়। অনেকের যাত্রাও বাতিল করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, এই সিন্ডিকেটের লোকজন ইমিগ্রেশনের বাইরে থাকেন। তাদের কাছে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থ নেয়া হয়। এই অর্থ না দিলে হয়রানির মুখে পড়তে হয়। যার কাছে যেমন অর্থ নিতে পারে তারা। অনেকের কাছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকাও নেয়।
তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা যুবলীগের এডভাইজারের দায়িত্বও পালন করছেন। সবশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়ে এই হয়রানি বন্ধের দাবি জানান প্রবাসীরা। চয়ন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক কথা বলেছেন। আমরা চাই স্থায়ী সমাধান। আমরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও কথা বলেছি। এখন আমরা এই হয়রানি স্থায়ীভাবে বন্ধে আদালতে শিগগিরই রিট করতে যাচ্ছি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post