প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে বাঁধ ভেঙে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের দারনা শহর। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই বাঁধ ভেঙে শহরে ঢুকে পড়া পানিতে ভেসে যান অনেকে। এখন সেসব মানুষের আত্মীয়-স্বজনরা তাদের লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। পঁচন ধরতে যাওয়া এসব লাশের জন্য বডি ব্যাগ দেওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন তারা।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে লিবিয়ায় দারনায় সৃষ্ট হওয়া ভয়াবহ এই বন্যায় প্রায় সাড় ৫ হাজার মানুষের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বলা হচ্ছে এই সংখ্যা অনেক বাড়বে, এমনকি দ্বিগুণও হতে পারে।
বন্যায় বিপর্যস্ত দারনার মেয়র আব্দুলমেনাম আল-ঘাইতি সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়াকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সুনামি সদৃশ এ বন্যায় যেসব এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটির উপর ভিত্তি করে তারা ধারণা করছেন, মৃতের সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ হাজার হতে পারে।
একটি ঝড়ের কারণে, দারনায় যে এমন ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে তা কেউ ভাবেননি। শহরটির বাসিন্দা আব্দুলকারিম সাংবাদিক মোতাজ আলীকে ত্রিপোলি থেকে জানিয়েছেন, এই ভয়াবহ বন্যায় তিনি তার মা ও ভাইকে হারিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, তার মা প্রথমে বাড়ি থেকে বের হতে চাননি। কারণ অন্য সবার মতো তিনিও ভেবেছিলেন, এটি সাধারণ একটি ঝড় ও বৃষ্টি। কিন্তু যখন বাঁধ ভেঙে শহরে পানি চলে আসে তখন নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে ছেলেকে নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন তিনি। ঠিক তখনই বন্যার পানিতে তারা দুইজনই ভেসে যান।
মাবরুকা এলমেসমারি নামের এক সাংবাদিক, যিনি গত মঙ্গলবার দারনা থেকে কোনো মতে পালিয়ে আসতে পেরেছেন, তিনি জানিয়েছেন, শহরটির অবস্থা বেশ খারাপ। অনেক মানুষ দারনা ছাড়তে চাচ্ছেন কিন্তু পারছেন না। কারণ শহর থেকে বের হওয়ার রাস্তাগুলো ভেঙে গেছে বা আটকে গেছে।
সূত্র: আল জাজিরা
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post