ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে মধ্যাহ্নভোজ করলেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলম। চাঁদা দাবি এবং তাকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ জানাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দারস্থ হয়েছেন তিনি। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে সহযোগিদের নিয়ে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন হিরো আলম। এদিন ডিবি কার্যালয়ে বসে সহযোগিদের নিয়ে দুপুরের খাবার খেতেও দেখা গেছে তাকে। খোঁচা দিলেন খাবারের মেন্যু নিয়েও।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি। তখন ধারণ করা একটি ভিডিও ক্লিপে মধ্যাহ্নভোজ করতে দেখা যায় হিরো আলমকে। তাকে বলতে দেখা গেছে, এটা ঠিক না। দু’রকম খাবার দিচ্ছেন, ঠিক নাকি? নেতা আসলে অনেক কিছু খেতে দিছেন, আমাদের খালি আলু ভর্তা, ডাল, ভাজি দিছেন, মাছ দিছেন। এ সময় হিরো আলমের সঙ্গীরা তার কথা সায় জানান। জানা যায়, কে বা কারা হিরো আলমকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ বিষয়ে ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতেই ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।
ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করার আগে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ৫২ মিনিটে মোবাইল ফোনে আমার কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) হাতিরঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। কিন্তু তারপর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি হাতিরঝিল থানা পুলিশ। আমি কয়েকবার ফোন দিয়েছি। তারা আমার ফোন ধরেনি। তাই আজ আমি ডিবিতে যাচ্ছি। ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করবো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে।’
এর আগে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন হিরো আলম। ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ৫২ মিনিটে মোবাইল ফোনে আমার (হিরো আলম) কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার হাতিরঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।’
এছাড়া গত ১৯ জুলাই তার অফিসে এসে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন হিরো আলম। এসময় তিনি সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছিলেন, কিছু লোক তাকে মারার জন্য খুঁজছে। নিরাপত্তা নিয়ে তিনি চিন্তিত।
উল্লেখ্য, গত ১৭ই জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম। সেখানে তিনি নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন। এছাড়াও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post