পোশাক মানুষের ব্যক্তিত্ব ও আভিজাত্যের প্রতীক। নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরিধান করে, অনেকের অনুকরণে নিজের পোশাক তৈরি করে থাকেন। বৈধ শালিন যেকোনও পোশাক পুরুষেরা পরতে পারবেন। তবে পোশাকের ক্ষেত্রে পুরুষদের খেয়াল রাখতে হবে, যেন তা রেশমের তৈরি করা না হয়।
কারণ, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘স্বর্ণ ও রেশমি বস্ত্র আমার উম্মতের নারীদের জন্য বৈধ এবং পুরুষের জন্য হারাম করা হয়েছে।’ (সিলসিলা সহীহা হা/১৮৬৫/৩০৩০)
একবার হুযাইফা রা. এক অগ্নি পুজকের কাছে পানি পান করিতে চাইলেন, অগ্নি পূজক তাকে রূপার গ্লাসে পানি দিলেন। তখন তিনি বললেন, আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘তোমরা মিহি কিংবা মোটা রেশমী কাপড় পরবে না, সোনা-রূপার পাত্রে পানাহার করবে না। কারণ এসব দুনিয়াতে তাদের (অর্থাৎ কাফিরদের) জন্য এবং আখিরাতে তোমাদের জন্য। (বুখারি, হাদিস ৫৪২৬)
অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি ‘আলী ইবনে আবু তালিব রা.-কে বলতে শুনেছেন, ‘আল্লাহর নবী-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ডান হাতে রেশম ও বাম হাতে স্বর্ণ নিয়ে বললেন, এ দু’টি জিনিস আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম।’ (সুনানে আবু দাউদ, অনুচ্ছেদ নারীদের জন্য রেশমি পোশাক বৈধ, সহিহ)
এর পাশাপাশি পুরুষদের নারীদের বেশ ধারণ করে এমন পোশাক পরতেও নিষেধ করেছেন। বর্ণিত হয়েছে, ‘নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরুষ হিজড়াদের উপর এবং পুরুষের বেশধারী মহিলাদের উপর লানত করেছেন।’- (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৮৮৬)
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, ‘যে সব নারী পুরুষদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে এবং যে সব পুরুষ নারীদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. হতে বর্ণিত, সহীহুল জামে হা/৪৫৩৩, সহীহ)
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post