বিদেশ ভ্রমণ করতে ভালোবাসে না, এরকম মানুষ বিরল। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় বড় অংকের বিমান ভাড়া বা ফ্লাইট খরচ। কখন ফ্লাইট বুকিং দিলে সবচেয়ে কম খরচে বিদেশ যেতে পারবেন, সেটা জানাতে গুগল ফ্লাইটসে নতুন একটি ফিচার যোগ হয়েছে। যেহেতু ফ্লাইটের মূল্য নিয়মিত ওঠানামা করে সেজন্যে এখনই বুক করা উচিত নাকি দাম কমার অপেক্ষা করা উচিত, তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন।
তাই ভ্রমণকারীদের এই সমস্যা দূর করতে গুগল ফ্লাইটস নিয়ে এসেছে নতুন একটি টুল। যা ভ্রমণকারীদের কখন ফ্লাইট বুক করলে সুবিধা হবে এবং তাদের অর্থের সাশ্রয় হবে, তা বের করতে সাহায্য করবে। আপাতত মোবাইল ফোনের জন্য কোনো অ্যাপ না থাকলেও যেকোনো স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ থেকে গুগল ফ্লাইটস ব্যবহার করতে পারবেন। চলতি সপ্তাহে চালু হওয়া এই নতুন ফিচার কাজ করার সময় ব্যবহারকারীদের আগের সব ভ্রমণের ডেটা নিয়ে বিশ্লেষণ করে। এরপর, ভ্রমণের জন্য নির্ধারিত বা পরিকল্পিত দিনগুলো ধর্তব্যে রেখে কয় তারিখে, কোন উড়োজাহাজ সংস্থার টিকিট কাটলে সবচেয়ে কম ভাড়ায় বিদেশ যাওয়া যাবে, সে বিষয়টি ব্যবহারকারীকে জানায়।
গুগল জানিয়েছে, এই নতুন টুলের পরামর্শ অনুযায়ী গড়পড়তায় টিকিট বুক করার সেরা সময় হল যাত্রার পরিকল্পিত দিনটির প্রায় ২ মাস আগে। তবে, যাত্রার তারিখ কাছে চলে আসলেও ফ্লাইটে অবিকৃত আসন বেশি থাকলে বা অন্যান্য কারণেও কখনো কখনো টিকিটের দাম কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এসব তথ্য ব্যবহার করে ভ্রমণকারীরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে অবিলম্বে বুক করা উচিত হবে নাকি আরও কম দামের জন্য অপেক্ষা করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
এই ফিচার গুগল ফ্লাইটস থেকে পাওয়া অন্যান্য ডেটা যেমন, বর্তমান সময়ের মূল্য আগের মূল্যের তুলনায় কম কিনা, নাকি সাধারণত এমনই থাকে, নাকি বেশি আছে সেগুলোও ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও, গুগল ফ্লাইটস ব্যবহারকারীরা একটি ফিচার চালুর মাধ্যমে ফ্লাইটের দাম নিয়মিত ট্র্যাক করতে পারবেন। যদি নির্ধারিত তারিখে বা সেই তারিখের আশেপাশের ফ্লাইটের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, তাহলে এটি ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে।
কিছু কিছু ফ্লাইটে একটি ‘প্রাইস গ্যারান্টি’ ব্যাজ থাকে। এই ব্যাজের অর্থ হল, গুগল নিশ্চিত যে ফ্লাইটের আগে ভাড়া আর কমবে না। তবে যদি কমে, তাহলে ‘গুগল পে’ ব্যবহার করে গুগল সেই অতিরিক্ত টাকা ব্যবহারকারীদের ফেরত দেবে। তবে এই ফিচারটি এখনও একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্পের অংশ, যা মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
সম্প্রতি একটি গুগল ব্লগ পোস্টে সবচেয়ে কম দামে বুক করার সময় এবং অন্যান্য ফ্লাইট-সেভিং ফিচার সম্পর্কে নতুন তথ্যগুলো শেয়ার করা হয়। পোস্টটিতে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত ফ্লাইট বুকিংয়ের বিভিন্ন ধরন নিয়ে ডেটা উপস্থাপন করা হয়।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বড়দিন উৎসবের সময় লম্বা ছুটি পান। এ সময় সাধারণত ফ্লাইটের উচ্চ চাহিদা থাকে। এ ক্ষেত্রে গুগল বলছে যাত্রার দিনের প্রায় ৭১ দিন আগে টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য পাওয়া যায়। তবে ২০২২ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, টেকঅফের ২২ দিন আগে ছিল টিকিট কেনার সেরা সময়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post