হারের ক্ষত না ভুলতেই দরজায় উঁকি দিচ্ছে নতুন চ্যালেঞ্জ। তবে বাংলাদেশের এবারের চ্যালেঞ্জ অবশ্য আরও কঠিন, যাকে বলা চলে বাঁচা-মরার লড়াই। আগামী রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে সাকিব আল হাসানের দল। এটি এশিয়া কাপের গ্রুপপর্বে সাকিবদের শেষ ম্যাচ, জয় না পেলে শেষ হতে পারে তাদের টুর্নামেন্ট যাত্রাও।
ম্যাচটি খেলতে আজ (শুক্রবার) বিকেলে কলম্বো থেকে চাটার্ড ফ্লাইটে করে পাকিস্তানের পথ ধরেন টাইগাররা। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তারা লাহোরে পৌঁছান বলে জানা গেছে। সেখানে পৌঁছে রাতের বিশ্রাম শেষেই নতুন করে নামতে হবে ক্রিকেটারদের। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল থেকে আসন্ন ম্যাচকে সামনে রেখে অনুশীলন করবে বাংলাদেশ দল। এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে দলের প্রতিনিধি হয়ে একজন খেলোয়াড় কিংবা কোনো কোচ কথা বলতে পারেন।
বাংলাদেশের এবারের এশিয়া কাপ মিশনটাও অনেকটা দোলাচল নিয়ে শুরু হয়েছিল। ইনজুরির কারণে দুজন ক্রিকেটারের ছিটকে যাওয়ার পর এশিয়া কাপের আগমুহূর্তে জ্বরের কারণে মাঠে নামার পথ বন্ধ হয়ে যায় লিটন দাসেরও। ফলে অনভিজ্ঞ ওপেনার নিয়েই লঙ্কানদের মুখোমুখি হয় চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দল। কেবল ওপেনিংই নয়, এক নাজমুল হোসেন শান্ত ছাড়া রান করতে পারেননি দলের কোনো ব্যাটারই। ফলে স্বল্প পুঁজির ম্যাচটি ফসকে যায় টাইগারদের হাত থেকে। যা তাদের এশিয়া কাপে টিকে থাকাও কঠিন করে তুলেছে।
এদিকে, বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আফগান কোচ জনাথন ট্রট বলেছেন, ‘আমি কালকের ম্যাচটি দেখেছি এবং কিছু ভালো জিনিস দেখেছি দুই দলের কাছ থেকেই। আমরা জানি এটা কঠিন হতে যাচ্ছে। আমাদের দুটি খেলাই কঠিন হতে যাচ্ছে আসলে। কিন্তু আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের দিকে ফোকাস করছি। আমরা জানি অবশ্যই তারা জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে থাকবে।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post