ভুয়া প্রাতিষ্ঠানিক সনদ দেখিয়ে দক্ষ কর্মী ক্যাটাগরিতে ভিসা পাওয়ার পথ বন্ধ করেছে আমিরাত সরকার। মূলত বাংলাদেশিদের ভুয়া প্রাতিষ্ঠানিক সনদ ব্যবহার বন্ধে কঠোর হয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সংযুক্ত আরব আমিরাত আগস্ট ২০১২ থেকে বাংলাদেশীদের জন্য শ্রম ভিসা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে গৃহকর্মী এবং পেশাদার উচ্চ শিক্ষিত কর্মীদের ভিসা খোলা রাখা হয়েছে। করোনা-পরবর্তী সময়ে প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছিলেন কারণ সেখানে ট্রাভেল ভিসা নিয়ে আমিরাতে এসে ওয়ার্ক ভিসায় রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগ ছিল। এর মধ্যে ২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে ৪২ হাজার বাংলাদেশি এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছেন।
তবে জুন থেকে আমিরাত সরকার বাংলাদেশিদের জন্য সাধারণ শ্রম ভিসা, ভ্রমণ ভিসা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগও বন্ধ করে দিয়েছে। স্কিল ভিসা শুধুমাত্র দুবাই শহরের উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিদের জন্য চালু রাখা হয়। এ সুযোগে একটি অসাধু চক্র অনলাইনে ভুয়া সার্টিফিকেট জমা দিয়ে ভিসা নিচ্ছিল। বাংলাদেশের একাধিক ট্রাভেল এজেন্সি সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিন ধরে এভাবে সার্টিফিকেট জমা দিয়ে ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না।
দুবাইতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন জানান, প্রতিদিন প্রায় ৬০০-৭০০ ভিসা যাচাইয়ের আবেদন আসে। যার সবগুলোই দক্ষ কর্মী ভিসা। কিন্তু ভিসা ভেরিফিকেশনের সময় শিক্ষাগত সনদ যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায় সেগুলো শতভাগ ভুয়া। এভাবে চলতে থাকলে দুবাইয়ে ব্যাংকার, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, নার্স, আইসিটি গ্রাজুয়েটদের ভিসা পাওয়ার সুযোগও হারাতে হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post