বাস, ট্রেনের চেয়ে বিমান ভ্রমণ আলাদা। তাই আকাশ পথে ভ্রমণে রয়েছে কিছু বিধি-নিষেধ। বিশেষ করে বিমান ভ্রমণের সময় লাগেজ বহনে শর্ত জুড়ে দেয় এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো। বিমানে কী বহন করতে পারবেন, কী বহন করতে পারবেন না তা অনেকেরই জানা নেই। ফলে ভ্রমণের সময় বিপত্তি বাধে। জানুন, বিমান ভ্রমণে সঙ্গে কী নেবেন, কী নেবেন না।
ক্যারি-অন ব্যাগ বা যে ব্যাগটি বিমানে নিজের সঙ্গে রাখবেন সেখানে টাকা-পয়সা, গহনা, ভ্রমণ ও চাকরি সংক্রান্ত কাগজপত্র রাখবেন। চেক-ইন ব্যাগ বা যে ব্যাগটি বিমানে দেবেন, সে ব্যাগ ওজন করবেন এবং ২০ কেজি ওজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবেন।
ব্যাগটি দড়ি বা প্যাকিং টেপ দিয়ে শক্ত করে বেধে নেবেন। যাতে যাত্রাকালীন সময়ে ব্যাগ ছিঁড়ে না যায়। ভ্রমণের জন্য হালকা কিন্তু শক্ত উপাদান দিয়ে তৈরি এবং ভালো তালার ব্যবস্থাসহ ব্যাগ কিনতে হবে। প্রতিটি ব্যাগে নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বার লিখে রাখবেন।
বিদেশে যাওয়ার পথে যা যা নিতে হবে তার একটি তালিকা তৈরি করবেন।
কখনোই ধারালো বস্তু, যেমন- ব্লেড, কাঁচি, ছুরি ইত্যাদি বহন করবেন না। এগুলো সিকিউরিটি চেকের সময় ধরা পড়ে এবং ফেলে দেয়া হয়। প্লেনে ও এয়ারপোর্টে ধূমপান নিষিদ্ধ। প্লেনে মোবাইল ফোন ও ট্রানজিষ্টার রেডিও ব্যবহার করা নিষেধ।
আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকজাতীয় পর্দাথ বহন করবেন না। নিষিদ্ধ মাদক ও ড্রাগ ভুলেও নেবেন না। আগুন ধরে এমন তরল পর্দাথ (লাইটার) বহন নিষিদ্ধ। দুর্গদ্ধ বের হয় এমন পদার্থ সঙ্গে নেয়া নিষিদ্ধ। যেমন- মাংস, দুধ, ডিম ও অন্যান্য পোল্ট্রিজাতীয় খামার, ফুল, ফল, সবজি, পান, গুল, সাদাপাতা ইত্যাদি।
বেল্টে ব্যাগ না পাওয়া গেলে বা ব্যাগ হারানো গেলে সঙ্গে সঙ্গে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে জানান। ক্লেইম ফরম পূরণ করতে হবে। প্রয়োজনে তথ্যকেন্দ্রের সহায়তা নিন। এয়ারলাইন্স আপনার ব্যাগ খুঁজে বের করে আপনার চুড়ান্ত গন্তব্যে যোগাযোগ করবে। আপনার হারানো ব্যাগ আপনাকে পৌছে দেয়া হবে। না পাওয়া গেলে টিকেটে উল্লিখিত নীতিমালা অনুযায়ী আপনাকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post