সোমবার (২৮ আগস্ট) খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আনিছা সিদ্দিকার আইনজীবী মনিরুল ইসলাম পান্না জানান, সন্ধ্যায় তিনি খুলনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। ২০ আগস্ট সকালে নগরীর বয়রা হাজী ফয়েজ উদ্দিন সড়কের বাবার বাড়ি থেকে আনিছা সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে খালিশপুর থানার ওসি মনিরুল গিয়াস বলেছিলেন, অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র করার জন্য সমবেত হওয়া আনিছা সিদ্দিকাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।
তবে আনিছা সিদ্দিকার ছেলে তানজিলুর রহমান অভিযোগ করেন, ফেসবুকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে লেখালেখি করায় তার মামার বাড়ি ভাঙচুর চালায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগের লোকজন। সেখানে গিয়ে ভাঙচুরের প্রতিবাদ করায় তার মাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম পান্না বলেন, ২২ আগস্ট মহানগর হাকিমের আদালতে প্রথম জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু জামিন পাওয়া যায়নি। গত ২৪ আগস্ট আবারও জামিনের আবেদন করা হলে তাও নাকচ করেন আদালত। ২৭ আগস্ট খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পুনরায় জামিনের আবেদন করা হয়। যা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ৩১ আগস্ট নথি প্রাপ্তি স্বপক্ষে শুনানির জন্য দিন ধার্য হয়। সোমবার আদালতে নথি আসায় আইনজীবী পুনরায় শুনানির আবেদন করেন। মহানগর দায়রা জজ আদালতের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস. এম আশিকুর রহমান জামিন শুনানি করেন। শুনানিতে বয়স ও আর কোনো মামলা না থাকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে শুনানিতে অংশ নেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি। আটদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি গবেষণারত তানজিলুর রহমান প্রবাসীর মা আনিছা সিদ্দিকা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post