ভারতের উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলে মুসলিম সহপাঠীকে শিক্ষার্থীদের চড় মারতে এক শিক্ষিকার নির্দেশ দেয়ার ঘটনা ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে স্কুলটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, এ ঘটনার তদন্তের জন্য স্কুলটি আপাতত বন্ধ থাকবে। বন্ধ রাখার জন্য স্কুলটির পরিচালককে নোটিশ পাঠিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, স্কুলটিতে অধ্যয়নরত শিশুদের রাজ্যের শিক্ষা দফতরের কর্মকর্তারা পার্শ্ববর্তী স্কুলে ভর্তি করাবেন; যাতে তাদের পড়াশোনার কোনো ক্ষতি না হয়। গত বৃহস্পতিবার মুজাফফরনগরের খুব্বাপুর গ্রামের নেহা পাবলিক স্কুলে হোমওয়ার্ক না করায় এক মুসলিম শিশুকে তার সহপাঠীদের দিয়ে থাপ্পড় মারা হয়। স্কুলের অধ্যক্ষ তৃপ্তি ত্যাগী সাত বছর বয়সী শিশুটিকে থাপ্পড় মারার জন্য তার সহপাঠীদের নির্দেশ দেন।
শিশুটি কান্নাকাটি করলেও তার সহপাঠীরা একের পর এক থাপ্পড় মারে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ভিডিওতে ওই ছাত্রকে জোরে আঘাত করার জন্য শিশুদের নির্দেশ দিতে শোনা যায় শিক্ষিকাকে।
নেহা পাবলিক স্কুলের শিক্ষিকা তৃপ্তি ত্যাগী অবশ্য তার এমন কাণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, এটি নিছকই সামান্য একটি ঘটনা। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। স্কুলে মুসলিম শিক্ষার্থীকে অন্য শিক্ষার্থীদের দিয়ে মারধরের এই ঘটনায় অধ্যক্ষ তৃপ্তি ত্যাগির সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে থতৃপ্তি ত্যাগি বলেছেন, তিনি সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে এমন নির্দেশ দেননি। শিশুটি হোমওয়ার্ক না করায় তাকে থাপ্পড় মারতে কিছু শিক্ষার্থীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post