ইতালির কোচের দায়িত্ব ছেড়ে সৌদি আরবের কোচ হতে যাচ্ছেন রবার্তো মানচিনি। তবে এর আগে তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির জন্য ইতালির দায়িত্ব ছাড়েননি। শেষ পর্যন্ত চলমান গুঞ্জনই সত্যি হলো। আজ্জুরিদের ডাগআউট ছেড়ে সৌদি জাতীয় ফুটবলের দলের দায়িত্বে আসলেন ৫৮ বছর বয়সী মানচিনি।
রোববার সৌদি আরবের ফুটবল ফেডারেশন নতুন কোচ হিসেবে মানচিনির নাম নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবের কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মানচিনি। ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বছরে আড়াই কোটি ইউরো বেতন দেওয়া হবে তাকে।
সৌদি ফুটবল ফেডারেশনের প্রকাশ করা এক ভিডিওতে মানচিনি বলেন, ‘আমি ইউরোপে ইতিহাস গড়েছি, এখন সৌদির হয়ে ইতিহাস গড়ার পালা। সৌদি আরবের কোচ পদে প্রস্তাব পেয়ে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।’ আরও যোগ করেন, ‘আমি বিশ্বাস করি নতুন একটি দেশে ফুটবলের অভিজ্ঞতা নেওয়ার দারুণ একটি সুযোগ এটি, বিশেষ করে এশিয়ার মতো মহাদেশে যেখানে ফুটবলের জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান। সৌদি প্রো লিগে শীর্ষ খেলোয়াড়দের উপস্থিতি জাতীয় দলের উন্নতির সম্ভাবনাকে ইঙ্গিত করে।’
২০০৬ বিশ্বকাপের পর থেকেই বড় মঞ্চে সাফল্য ছিল না ফুটবল পরাশক্তি ইতালির। ২০১৪ বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে বাদ আর ২০১৮ বিশ্বকাপে অংশ নিতে ব্যর্থ। এমনই এক দুঃসময়ে ইতালি জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন রবার্তো মানচিনি। ইতালির ঘুরে দাঁড়ানোর শুরুটাও হয়েছিল তারই হাত ধরে। টানা ৩৪ ম্যাচ অপরাজিত থেকে আজ্জুরিদের এনে দিয়েছিলেন মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব।
তবে এমন বড় সাফল্য পেয়েও সমর্থকদের পরিপূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারেননি মানচিনি। খর্বশক্তির দল উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছ হেরে ২০২২ বিশ্বকাপেও কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা। তবুও ইতালির ডাগআউটে ছিলেন মানচিনি। তবে ২০২৪ সালের ইউরো শুরুর মাত্র ১০ মাস আগে লিওনার্দো বনুচ্চিদের ছেড়ে গেলেন কিংবদন্তি এই কোচ। সৌদি আরবের ডাগআউটে মানচিনির অভিষেক হবে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর কোস্টারিকার বিপক্ষে। চার দিন পর নিউক্যাসলের সেন্ট জেমস পার্কে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে তার শিষ্যরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post