জীবন বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজনীয়তার শেষ নেই। একজন মানুষের এক ব্যাগ রক্ত বাঁচিয়ে দিতে পারে অন্য একজন মানুষের জীবন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৯ লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সময়মত মাত্র ৩২% রক্তের চাহিদা পূরণ করা যায়।
শুধু তাই না ডেঙ্গু মহামারীসহ নানা কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজন হয়। প্রতিনিয়ত রক্তের প্রয়োজনে হাসপাতালে ছুটতে দেখা যায় রোগীর স্বজনদের। প্রায়ই সঠিক সময়ে রক্ত না পেয়ে চরম দুশ্চিন্তা ও ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। অপারেশন থিয়েটারে রোগী কিন্তু রক্ত মিলছে না, এ যেন এক ভয়াবহ দুশ্চিন্তা।
প্রতিনিয়ত হাজারো মানুষের এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে দেশের একদল তরুণ। তৈরি করেছে রক্তের সংগঠন। নাম দিয়েছে ‘ব্লাডলিংক’। এটি বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন ব্লাড পোর্টাল। ব্লাডলিংক প্রতিষ্ঠা করেছেন রাজানীর সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তামজিদ রহমান। তাকে সহযোগীতা করছেন তারই কিছু বন্ধু।
ব্লাডলিংক একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ মেসেঞ্জার চ্যাটবট ব্যবহার করে রক্তের জন্য আবেদন করতে পারবে। দ্রুততম সময়ে রক্তের যোগান দিতে ব্লাডলিঙ্কের রয়েছে অনলাইন পোর্টাল ও মোবাইল এ্যাপ। ব্লাডলিংক চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন রক্তের প্রয়োজনে অনুরোধ করেছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। ব্লাডলিংক তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে রক্তে যোগান দিয়ে সফলতা দেখিয়েছে।
রক্তদান উৎসাহিত করতে দেশব্যাপী রক্তদাতাদের কমিউনিটি তৈরি করতেও কাজ করে যাচ্ছে তামজিদের সংগঠন ব্লাডলিংক। ভবিষ্যতে ব্লাডলিংকের কাজ আরো এগিয়ে নিতে চান তামজিদ। তামজিদ বলেন, মানবিক দিন বিবেচনা করেই এই সংগঠন তৈরি করেছেন তিনি। দেশ ও বিদেশের মানুষ যদি এগিয়ে আসে তাহলে এই সংগঠন যেমন বড় হবে তেমনী উপকার পাবে সাধারণ মানুষ।
ব্লাডলিংক সারাদেশে ৭৫+ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে কাজ করছে। রক্তের জন্য আবেদন করতে ভিজিট করুন bloodlink.xyz অথবা গুগল প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করুন ‘BloodLink Portal’ মোবাইল অ্যাপ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post