জার্মান নাগরিকত্ব পাওয়ার পথকে আরো সহজ করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। বুধবার এ বিষয়ক একটি আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে জার্মান মন্ত্রিসভা। অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিকভাবে যেসব অভিবাসীরা জার্মান সমাজে একীভূত হতে পারবেন, তাদের দ্রুত সময়ে জার্মান পাসপোর্ট দিতে আগ্রহী চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বাধীন জার্মান সরকার।
নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের সময়সীমা আট বছর থেকে কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে। অর্থাৎ অভিবাসীরা বৈধভাবে পাঁচ বছর বসবাস করলে জার্মানির নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কেউ যথাযথভাবে জার্মানির সমাজে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলে তিন বছর বসবাসের পরই আবেদন করতে পারবেন। যেমন কাজে অসাধারণ দক্ষতা দেখালে কিংবা স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করলে, জার্মান ভাষার ওপর ভালো দক্ষতা থাকলে এবং স্বাধীনভাবে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য আয়রোজগার করলে, সেগুলো বিশেষ যোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে।
অভিবাসী মা-বাবার জার্মানিতে জন্ম নেওয়া শিশুরা শর্তহীন নাগরিকত্ব পাবে। চাইলে মা-বাবার দেশের নাগরিকত্বও তারা রাখতে পারবে। তবে বাবা অথবা মা যেকোনো একজন বৈধভাবে জার্মানিতে পাঁচ বছর বসবাস করলে নাগরিকত্বের এই যোগ্যতা অর্জন করবে তারা।
দক্ষ কর্মীর সংকটে থাকা জার্মানির আইন যথেষ্ট আধুনিক ও অভিবাসীদের জন্য আকর্ষণীয় নয় বলে অভিযোগ করে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জার্মানিতে বসবাসকারী ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বা ১৪ শতাংশের জার্মান পাসপোর্ট নেই। এর মধ্যে ১০ বছর বা তার বেশি সময় বসবাস করছেন, এমন অভিবাসীর সংখ্যা ৫৩ লাখ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post