দেশব্যাপী আতঙ্কের আরেক নাম এখন কিশোর গ্যাং। ছোটখাটো অপরাধ থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ড, ইভ টিজিং, ধর্ষণ, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদকাসক্তি, মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কিত গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। নিজেদের পাপের সাম্রাজ্য শক্তিশালী করতে পাড়া-মহল্লার ছিঁচকে ছেলেপুলেকে কাজে লাগিয়ে বেপরোয়া গ্যাং তৈরি করছে কিছু অসাধু মানুষ। যার অনুসারীরা যত বেশি হিংস্র, তার প্রভাব তত বেশি।
অথচ এই প্রভাবের বাস্তবে কোনো মূল্য নেই। যারা এভাবে প্রভাবশালী হয়, তাদের নবীজি (সা.) নিকৃষ্ট মানুষ বলে আখ্যা দিয়েছেন। কারণ তাদের মানুষ সম্মান করে তাদের অনিষ্ট ও অশালীনতা থেকে বাঁচার জন্য। আয়েশা (রা.) বলেন, একবার এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে আসার অনুমতি চাইলে তিনি বলেন, তাকে অনুমতি দাও। সে বংশের নিকৃষ্ট ভাই অথবা বলেন, সে গোত্রের নিকৃষ্ট সন্তান।
লোকটি ভেতরে এলে তিনি তার সঙ্গে নম্র ভাষায় কথাবার্তা বলেন। তখন জিগ্যেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল, আপনি এ লোকের ব্যাপারে যা বলার তা বলেছেন। পরে আপনি আবার তার সঙ্গে নম্র হয়ে কথা বললেন। তখন তিনি বলেন, হে আয়েশা, নিশ্চয়ই সবচেয়ে খারাপ লোক সে-ই, যার অশালীনতা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ তার সংসর্গ পরিত্যাগ করে।’
যেসব উদ্দেশ্যে তারা কিশোর গ্যাং গড়ে তোলে ও লালন-পালন করে, সে উদ্দেশ্যগুলোও মানুষের ঈমান হরণ করে। যেমন কিশোর গ্যাংয়ের অন্যতম কাজ হলো, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ ইত্যাদি। হাদিসে আছে, কোনো ঈমানদার ব্যক্তি ঈমান থাকা অবস্থায় এসব কাজ করতে পারে না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন কোনো ব্যভিচারী ব্যভিচার করে, তখন সে মুমিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না, যখন চোর চুরি করে, তখন সে মুমিন অবস্থায় চুরি করে না, যখন কোনো মদ্যপায়ী মদ পান করে, তখন সে মুমিন অবস্থায় মদ পান করে না, আর যখন কোনো ডাকাত লোকচক্ষুর সামনে ডাকাতি করে, তখনো সে মুমিন অবস্থায় ডাকাতি করে না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post