ওমানের সর্ববৃহৎ শপিং সেন্টার এভিনিউ মলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দেশটির সিভিল ডিফেন্স এন্ড অ্যাম্বুলেন্স অথোরিটি এক বিবৃতিতে এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বউশারের আল গুবারা এলাকার একটি বানিজ্যিক মলে আগুন লাগার ও ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার কর্মীদের ঐকান্তিক চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে দাবী করেছে সংস্থাটি।
এদিকে, সম্প্রতি ওমানে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকির বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। আগের সময়ের চেয়ে দেশটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ব্যাপক বেড়েছে। রাজধানী মাস্কাট এ তালিকায় সবার উপরে। ওমানের জাতীয় পরিসংখ্যান ও তথ্য বিভাগের মতে, ২০২২ সালে কেবল মাস্কাটেই ১৩০৭ টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যা পুরো দেশের ৩১ দশমিক ২ শতাংশ।
এদিকে ২০২২ সালে ওমানজুড়ে মোট ৪হাজার ১৮৬টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। মাস্কাটের পর দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তর বাতিনায় ৯৪৯ টি, দক্ষিণ বাতিনায় ৩৬৭টি এবং আল দাখিলিয়ায় ৪৩৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে গৃহস্থালি আবাসনেই সর্বোচ্চ ৩২ শতাংশ আগুন লেগেছে।
সিভিল ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যাম্বুলেন্স অথরিটি বলছে, ঘর বাড়িতে ধোঁয়া এবং গ্যাস লিকেজ ডিটেক্টর স্থাপন করা উচিত এবং ঝুঁকি এড়াতে ব্যবহারের পরপরেই বৈদ্যুতিক সরঞ্জামগুলি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এক কথায় সচেতন না হলে এমন দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব নয়।
আবাসিক বাসাবাড়িতে আগুন লাগার কারণ হিসেবে তারা বলছে, রান্না করার পরে এবং বাসা থেকে বের হওয়ার সময় অনেকেই গ্যাস সিলিন্ডার বন্ধ করেন না, আবার শিশুরা লাইটার এবং ম্যাচ নিয়ে খেলা করে, অনেকে যেখানে সেখানে জ্বলন্ত সিগারেটের বাট নিক্ষেপ করে, অর্থ্যাৎ সাধারণের অসাবধানতার কারণেই এধরণের ঘটনা ঘটছে।
এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। ব্যবহারের পর বিদ্যুৎ এবং গ্যাস বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে তারা। এছাড়া কোথাও আগুন লাগলে দ্রুত জরুরী সেবায় কল করে সাহায্য চাইতে বলা হয়েছে।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post