মাথার উপর দিয়ে সাঁইসাঁই করে উড়ে যেত বিমান। সে দিকে তাকিয়ে ছেলেটি রোজ ভাবত বিমানবন্দরে গিয়ে বিমানের ওঠানামা দেখবেন। সেই শখ পূরণ করতে ছুটে যান জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। কিন্তু দেখব বললেই যে আর দেখা যায় না -সেসব সাতপাঁচ ভাবা হয়নি তার। পরে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেয়ায় হতাশ হয়ে তাকে ফিরে আসতে হয়। শখ পূরণ না হওয়ায় মনে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিলেন। সেই আঘাতই একদিন তার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে আসে। বড় হয়ে বানিয়ে ফেলেন আস্ত একটি বিমান!
নাম বজরঙ্গী ওরফে ব্রিজমোহন। রাজস্থানের জয়পুরের রাজলদেসরের বাসিন্দা। পড়াশোনা করেছেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। মোবাইল এবং কম্পিউটার সারানোর দোকান রয়েছে তাঁর। আট বছর ধরে অনেক কসরতের পর গোটা একটি বিমান বানিয়েছেন বজরঙ্গী। ভেতরে দু’জনের বসার মতো জায়গা রয়েছে। যা ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। এতে ৪৫ লিটার জ্বালানি রাখবার ট্যাঙ্কও রয়েছে। তাঁর বিমান এই জ্বালানিতে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে।
বজরঙ্গীর দাবি, এটি তৈরি করতে মোট ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। দোকান চালিয়ে যে টাকা আয় করতেন তা এই বিমান তৈরির কাজেই খরচ করেছেন। এসময় তাঁর কয়েক জন পরিচিত আর্থিকভাবে কিছুটা সহযোগিতা করেছেন। বিমান তো বানিয়েছেন বজরঙ্গী, কিন্তু ওড়াবেন কী ভাবে, তা ভেবেই আকুল তিনি। এখন বিমান ওড়ানোর অনুমতি পেতে সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন। ঘরের ছেলের এই আবিষ্কারে উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসীরাও। তাঁরাও আশায় রয়েছেন, কবে বজরঙ্গীর বিমান আকাশে উড়বে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post