সরকারি চাকরি ও পেনশন ব্যবস্থায় যারা অন্তর্ভুক্ত নন, প্রাথমিকভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় এমন চারটি শ্রেণিকে যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রবাসীরা অন্যতম। ওই পেনশনের আওতায় প্রবাসীদের জন্য থাকছে ‘প্রবাস’ স্কিম। এই স্কিমের অধীনে মাসিক চাঁদার সর্বনিম্ন হার ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সাড়ে সাত হাজার ও সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা হারে চাঁদা দেওয়া যাবে। প্রবাস স্কিমের চাঁদা বিদেশি মুদ্রায় দিতে হবে।
বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা পরিশোধ করে প্রবাসীরা অতিরিক্ত ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রণোদনাও পাবেন। নির্ধারিত সুদহারের বাইরে রেমিট্যান্সের মতো প্রণোদনার সুবিধা থাকায় এই পেনশন স্কিম প্রবাসীদের জন্য নিরাপদ সঞ্চয় ও ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে বলে মনে করছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই বিদেশ থেকে দেশে থাকা ভাই, বোন, এমনকি বাবার কাছে টাকা পাঠিয়েও প্রতারিত হচ্ছেন। দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে এসে নিজেদের নিঃস্ব অবস্থায় দেখতে হচ্ছে প্রতারণার শিকার এসব ব্যক্তিকে। সর্বজনীন পেনশনে অংশগ্রহণ করলে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না তাদের।
প্রবাসী কেউ যদি ১৮ বছর বয়সে পেনশন হিসেবে সর্বনিম্ন হার ৫ হাজার টাকা করে মাসিক চাঁদা দিতে শুরু করেন এবং ৬০ বছর পর্যন্ত নিয়মিত চাঁদা জমা দেন, তাহলে অবসরের পর অর্থাৎ ন্যূনতম ৭৫ বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে এক লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা হারে পেনশন পাবেন। ৪২ বছর মাসিক এই হারে চাঁদা দিলে তার জমা হবে ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর তিনি ন্যূনতম ১৫ বছরে পেনশন পাবেন ৩ কোটি ১০ লাখ ১৮ হাজার ৮৬০ টাকা।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post