মালদ্বীপ থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং পরিষেবা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে, গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। বাধ্য হয়ে প্রবাসীদের হুন্ডি বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ওপর নির্ভর করতে হয়।
প্রবাসীদের মালদ্বীপে নিয়োগের সময় ডলারে বেতন দেওয়ার কথা কাগজপত্রে উল্লেখ করা হলেও বেশিরভাগ কোম্পানি ও মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন দেয় মালদ্বীপের মুদ্রা রুপিয়ায়। আর প্রবাসীদেরকে দেশে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হয় ডলার কিনে। সরকারিভাবে এক ডলারের মূল্য ১৫ দশমিক ৪২ রুপিয়া। তবে প্রবাসীদের ডলার কিনতে হয় ব্ল্যাক মার্কেট থেকে। আর ব্ল্যাক মার্কেটে এক ডলারের দাম ১৭-১৮ রুপিয়া। এতে প্রতি ডলারে তিন থেকে চার রুপিয়া বেশি খরচ হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলারে ২৫-৩০ টাকা কম পান প্রবাসীরা।
মালদ্বীপে দক্ষ ও অদক্ষ মিলিয়ে বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী আছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মালদ্বীপ থেকে বৈধ পথে প্রবাসীরা ২ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ডলার দেশে পাঠান, যা পরের অর্থবছরগুলোতে কয়েকগুণ বেড়েছে।
দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি শ্রমিকের অর্ধেকের বেশিই অবৈধ। তাদের অধিকাংশই এখন নানা সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন দোকান-মার্কেট-রিসোর্ট-হোটেলে কাজ করার পাশাপাশি ব্যবসাও করছেন অনেকে। এসব শ্রমিকের মধ্যে যারা বৈধভাবে কাজ করছেন, কেবল তাদের মধ্যে অল্প সংখ্যক প্রবাসীর অবস্থাই কিছুটা ভালো। প্রবাসীদের দাবী, যদি বৈধ পথে রুপিয়ার মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো যায় তবে রেমিট্যান্সের পরিমাণ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post