ভাল বেতনে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের কাজের কথা বলে দুই ব্যক্তিকে ওমান নিয়ে টয়লেট ও রাস্তা পরিস্কারের কাজ ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে এসব কাজে অনীহা জানালে তারা বর্বর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। অভিযোগ উঠেছে, মনিরুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক দালাল চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে ওই দুই প্রতিবেশী জাকিরুল ইসলাম ও তুষার মিয়াকে ওমান পাঠান।
ওমানে থাকা মনিরুল ইসলামের ভাই আব্দুর রহমান মূলত একজন আদম ব্যবসায়ী। ওমান যাওয়া ওই দুই যুবককে তিনিই এসবকাজে ঢুকিয়ে দেন। মাস শেষে তাদের বেতনের টাকা জোরপূর্বক হাতিয়েও নিতেন তিনি। ভুক্তভোগীদের দাবী, বেতনের টাকা না দিলে তাদেরকে মারধরের পাশাপাশি অনাহারে রেখে নির্যাতন করা হতো। এসব সহ্য করতে না পেরে আগস্ট মাসের শেষের দিকে তারা দেশে ফিরে আসেন।
এদিকে জমি বিক্রি ও ধারদেনা করে ওমান গিয়ে আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে ওই দুই যুবকের পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। দেশে ফিরে মনিরুল ইসলামের কাছে হাতিয়ে নেয়া টাকা ফেরত চাইলে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। পরে প্রতারণার ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করে রবিবার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।
জাকিরুল ও তুষার নির্যাতনের বর্ণনায় বলেন- আদম ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান ও তার ভাড়াটে লোকজন ওমানে প্রতিনিয়ত তাদেরকে শারীরিক নির্যাতন করতো। দুই তিন দিনে মাত্র একবেলা খাবার দেয়া হতো। ধারালো চাকু দেখিয়ে জোরপূর্বক সাদা কাগজ ও ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে পরে বেতনের টাকাও তুলে নেয়া হতো। এছাড়া তাদের দেশে পাঠানোর আগে নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও আনা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post