ব্রিটেনে কেয়ার, ওয়ার্ক পারমিট ও স্কিলড ওয়ার্কার ভিসায় গত দুই বছরে আসা হাজার হাজার মানুষ এখন বেকার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী আনতে দেশটিতে খোলা বহু ভুয়া কোম্পানি এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। ওই বেকাররা এখন ভিসা বাতিলের আতঙ্কে রয়েছেন। এমন বাস্তবতায় আগামী সোমবার (৭ আগস্ট) থেকে এসব ভিসার ক্ষেত্রে ‘জেনুইননেস টেস্ট’-এর নতুন নীতিমালা কার্যকর করবে ব্রিটিশ হোম অফিস।
নতুন নীতিমালায় আবেদনকারীকে প্রমাণ করতে হবে— তার কর্মস্থলে প্রকৃতপক্ষে কাজের নিশ্চয়তা রয়েছে কিনা; নিয়োগদাতার সঙ্গে তার যোগাযোগ সরাসরি ছিল কিনা; সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে কিনা; সংশ্লিষ্ট ভিসায় কাজ করার প্রশিক্ষণ, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা আছে কিনা তা দেখা হবে। এছাড়া ব্যাংক হিসাবের সত্যতা এবং আবেদন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাও যাচাই করা হবে।
প্রয়োজনে ফোনে বা ভিডিও কলে আবেদনকারী ও নিয়োগদাতার সাক্ষাৎকার নেবে হোম অফিস। নতুন নিয়মে আবেদনকারীর হোম অফিসে আবেদনের ‘কাভার লেটারে’ এ সংক্রান্ত সকল তথ্য সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে যাদের ‘কজ’ ইস্যু করা হয়েছে, তাদের আবেদনগুলোও তদন্ত করবে হোম অফিস। মূলত ব্রিটেনে ভুয়া কোম্পানিগুলো মানুষ আনার পর কাজ না দেওয়া, টাকার বিনিময়ে কাজ দেখানোর অসংখ্য অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post