প্রবাসীর বাড়িতে চুরি করে এক চক্র। চুরির সেই টাকায় পবিত্র ঈদুল আজহায় গরু কিনে কোরবানি দেন। করেন বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে খাবারের আয়োজন। ওই চোর চক্রের দলনেতা আবুল কাশেম বুধবার বিকেলে আদালতে এমন স্বীকারোক্তি দেন। গেলো মঙ্গলবার রাতে আবুল কাশেমসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আবুল কাশেমের বাড়ি নোয়াখালীতে। বর্তমানে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে স্থায়ীভাবে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
গত ৮ জুন রাউজান উপজেলার ইয়াছিন নগর গ্রামে প্রবাসী আবদুল কাদেরের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় রাউজান থানায় প্রবাসীর করা মামলায় বলা হয়, তাঁর বাড়ি থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মুঠোফোন, ল্যাপটপসহ প্রায় ৫৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন ঘরে কেউ ছিলেন না। তারা এক আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়েছিলেন।
আদালতে মামলা দায়েরের পর তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর মাত্র ১০ দিনের মধ্যে পিবিআই চোরের দলকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে নয় ভরি সোনা, দুটি মোটরসাইকেল ও ঘটনায় ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা স্বীকার করেছেন, তারা একই কায়দায় পার্শ্ববর্তী দুই এলাকায় চুরি করে আসছিল। দিনের বেলায় মোটরসাইকেল দিয়ে রেকি করে আসেন। আর রাতের বেলায় সিএনজি অটোরিকশায় গিয়ে চুরি করেন।
পুলিশ জানায়, চুরি করা নগদ টাকা ও সোনা বিক্রি করে তারা প্রত্যেকে আড়াই লাখ টাকা করে ভাগে পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এসময় চোর দলের নেতা আবুল কাশেম স্বীকার করেছেন যে, চুরির ভাগ পাওয়া টাকায় গত জুন মাসে পবিত্র ঈদুল আজহায় কয়েকজনের সঙ্গে মিলে গরু কোরবানি দিয়েছেন। সেখানে দেন ৩০ হাজার টাকা। এরপর গ্রামের বাড়িতে গত মাসের মাঝামাঝি তাঁর বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২০ হাজার টাকা খরচ করে খাবারের আয়োজন করেন তিনি। বাকি টাকা সংসারের জন্য খরচ করেন। তার কোনো পেশা নেই। চুরিই তার পেশা ও নেশা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post