মুসলিম দেশগুলোর তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার মধ্যেই সুইডেনে আবারও পবিত্র কুরআন শরীফে আগুন দিয়েছে ইসলামবিরোধীরা। সোমবার স্টকহোমে দেশটির সংসদ ভবনের বাইরে দুই ব্যক্তি পবিত্র এই গ্রন্থে আগুন লাগান। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির একজন প্রতিনিধি স্টকহোমে কোরআনে আগুন দেওয়ার এই ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। গত কিছু দিন ধরে সুইডেন এবং ডেনমার্কে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনে একের পর এক অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মুসলিমদের তীব্র ক্ষোভের মধ্যেই সোমবারের ওই ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার স্টকহোমে সংসদ ভবনের বাইরে সালওয়ান মোমিকা ও সালওয়ান নাজেম নামের দুই ব্যক্তি মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থে লাথি মারেন। পরে এতে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। এর আগে, গত জুনের শেষ দিকেও স্টকহোমের প্রধান মসজিদের বাইরে একইভাবে কোরআন পুড়িয়েছিলেন এই দুই উগ্রবাদী। যা পুরো মধ্যপ্রাচ্য ও মুসলিম বিশ্বে তীব্র ক্ষোভ এবং নিন্দার জন্ম দেয়।
গত ২০ জুলাইও স্টকহোমে ইরাকের দূতাবাসের সামনে একই ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন এই দুই বিক্ষোভকারী। তবে সেই সময় কোরআনের ওপর আঘাত করা হলেও আগুন দেননি তারা। সুইডেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসেনকে সালওয়ান নাজেম বলেছেন, নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আমি অসংখ্যবার এই কোরআন পোড়াবো।
বারবার কোরআন পোড়ানোর ঘটনাকে ঘিরে সুইডেন এবং ডেনমার্কের সাথে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ইতোমধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদ বা বিক্ষোভের নামে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার কথা বিবেচনা করছে ডেনমার্ক ও সুইডেন।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই ধরনের বিক্ষোভ চরমপন্থিদের উপকার করে এবং নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি করে। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, তাদের দেশে একই ধরনের প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post